English

26.8 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ১৬, ২০২৫
- Advertisement -

মেনিনজাইটিস হলে করণীয়

- Advertisements -

ডা. আবদুল্লাহ শাহরিয়ার: মেনিনজাইটিস হলো ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ডের পাশে অবস্থিত পর্দা বা প্রদাহজনিত রোগ। মেনিনজেস-মেনিনজাইটিসের কারণে এসব স্থান আক্রান্ত হলে শরীরে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন– মাথাব্যথা, জ্বর ও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।

Advertisements

মেনিনজাইটিস এক ধরনের মরণাপন্ন রোগ। যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে এ রোগে মৃত্যু আসন্ন। মেনিনজাইটিসের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া প্রতি পাঁচজন রোগীর অন্তত একজনের চিরস্থায়ী অঙ্গহানি বা মস্তিষ্কের সমস্যা, বধিরতা বা দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়।

কারণ
মেনিনজাইটিসের প্রধান কারণ ব্যাকটেরিয়া। আরও কিছু কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে। যেমন– ক্যান্সারের বিস্তৃতি, কিছু বিশেষ ওষুধ সেবন (ব্যথানাশক ওষুধ), সারকোডিয়াসিস, কানেকটিভ টিস্যুর সমস্যাজনিত রোগ, সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটোসাস উল্লেখযোগ্য।

রোগের লক্ষণ

অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মেনিনজাইটিসের রোগী মারা যায়। তবে সব ক্ষেত্রে এ রকম হয়, এমনটি বলা যাবে না। মেনিনজাইটিসের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গলার মাংস শক্ত হয়ে যাওয়া, স্মৃতিবিভ্রম, বমি বা বমি ভাব, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, অস্বস্তি, শরীরের বিশেষত পায়ের পেছনে ও নিতম্বে ঘায়ের মতো বিশেষ দাগ, অচেতন অবস্থা, তন্দ্রা ভাব, শরীরের ভারসাম্য হারানো প্রভৃতি।

মেনিনজাইটিস ডায়াগনসিস রোগের লক্ষণের পাশাপাশি মেনিনজাইটিস থাকার ব্যাপারে সন্দেহ হলে ব্লাড কালচার ও রক্তের রুটিন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। রোগীর মেরুদণ্ডের ভেতরে থাকা কশেরুকা থেকে সিএসএফ বা তরল পদার্থ বের করে তা পরীক্ষা করা হয়। সিএসএফে সেল কাউন্ট, প্রোটিন, গ্লুকোজ দেখে এবং সিএসএফের গ্রাম স্টেইন, কালচার পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। যক্ষ্মা থেকে মেনিনজাইটিস হলে এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ তদানুযায়ী পরীক্ষার পাশাপাশি সিএসএফ কালচার, পিসিআর পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ ও টিকা মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে বাংলাদেশে শিশুদের দেড় মাস বয়সের পর থেকে টিকাদান কর্মসূচিতে বিসিজি বা যক্ষ্মা, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি, নিউমোকক্কাল, এমএমআর বা মিসেলস মাম্পস রুবেলা ও হেপাটাইটিস টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত রোগীর নিকটতম আত্মীয়স্বজন, সেবাদানকারী সেবিকা, চিকিৎসকের চিকিৎসা চলাকালে রোগ প্রতিরোধে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন অথবা রিফামপিসিন সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisements

চিকিৎসা

উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে (সেফট্রায়াক্সোন, ভ্যানকামাইসিন) স্টেরয়েড এবং খিঁচুনি হলে অ্যান্টিকনভালস্যান্ট জাতীয় ওষুধ দিয়ে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। রোগ নির্ণয়ের আগে শুধু লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কারণ, দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে প্রাণহানির শঙ্কা থাকে।

লেখক : অধ্যাপক,  জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/kptj
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন