বয়স ১২ বছর হওয়ার আগেই ছোটদের ওপর ও নিচের চোয়াল মিলিয়ে ২০টি দুধ দাঁত গজায়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে ২৮টি স্থায়ী দাঁত ওঠে। অনেক পরে আরো চারটি আক্কেল দাঁত গজায়।
যত্ন
১. এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফ্লোরাইডমুক্ত টুথপেস্ট দিতে হবে।
২. এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছোট মাথার টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। ব্রাশের শলাকা নরম ও মাথা গোলাকার এমন ব্রাশ বেছে নিতে হবে। ব্রাশের হাতল এমন হতে হবে যেন শিশু স্বাচ্ছন্দ্যে হাতের মুঠোয় ধরতে পারে।শিশুর বয়স সাত বছর হওয়া পর্যন্ত খেয়াল রাখতে হবে সে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করছে কি না।
৩. শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত একটি চালের দানার সমান টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করাতে হবে। তিন বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের একটি মটর দানার সমান টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। সকালে খাওয়ার পর এবং রাতে খাবার পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। প্রতিবার কমপক্ষে দুই মিনিট দাঁত ব্রাশ করাতে হবে শিশুদের। দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন না।
শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই হবে না, শিশু যে খাবারগুলো খাচ্ছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দিনে কমপক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার পরে ব্রাশ করতে পারেন।
চিপস, চুইংগাম, কোমলপানীয়, মিষ্টি, আইসক্রিম দাঁতের জন্য ক্ষতিকর, এসব খাবার না খাওয়াই ঠিক। ফলমূল ও শাক-সবজি, দুধ, ডিম, দইসহ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে। ভিটামিন ‘সি’ দাঁতের জন্য ভালো। তাই টক ফল খাওয়াতে পারেন। প্রয়োজনে একজন ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।