শীত শুরু হতে না হতেই অনেকেই হাঁচি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা চুলকানি বা ত্বকের শুষ্কতার মতো এলার্জিতে ভোগেন। আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধুলো ও বাতাসের শুষ্কতার কারণে এ সময় এলার্জি দ্রুত বেড়ে যায়। তবে কিছু অভ্যাস মেনে চললে মৌসুমে এই অস্বস্তি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
১. ঘর ধুলো মুক্ত রাখুন
শীতে জানালা কম খোলা হয়, ফলে ঘরে ধুলো-মাইট জমে থাকে—যা এলার্জির সবচেয়ে বড় কারণ। তাই নিয়মিত ঝাড়ু-পোঁছা করুন, বিছানার চাদর, বালিশের কভার সপ্তাহে অন্তত একবার ধুয়ে নিন এবং পর্দা পরিষ্কার রাখুন।
২. ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন
শীতের শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার ভেতর শুষ্কতা তৈরি করে এলার্জি বাড়ায়। হুমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাস আর্দ্র থাকে। চাইলে ঘরে পানি ভরা বাটি বা ভেজা কাপড় ঝুলিয়েও আর্দ্রতা বাড়ানো যায়।
৩. উষ্ণ খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান
গরম পানি, হারবাল চা, স্যুপ-এসব শরীর গরম রাখে এবং শ্বাসনালীকে আরাম দেয়। পাশাপাশি সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং এলার্জির প্রভাব কমে।
৪. বাইরে গেলে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন
ঠান্ডা বাতাস ও ধুলোবালু এলার্জির অন্যতম বড় কারণ। তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক অথবা স্কার্ফ দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। এতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি শ্বাসনালীতে ঢুকতে পারে না।
৫. ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন
যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে, তারা দুধজাত খাবার, ঠান্ডা পানীয়, অতিরিক্ত তেল–মসলাযুক্ত ফাস্টফুড কম খান। এসব অনেক সময় এলার্জি বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে ভিটামিন–সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী।
