চুলকানি এমন একটি অনুভূতি, যা শরীরে আঁচড়ে দিতে ইচ্ছে জাগায়। সব মানুষের অনুভূতির মাত্রা ও সংবেদনশীলতা এক রকম নয়। ফলে অনেকে অল্প সমস্যায়ই বেশি চুলকানি অনুভব করেন। চর্মরোগ ছাড়াও অনেক সাধারণ কারণ ও বিভিন্ন অঙ্গের রোগের বহিঃপ্রকাশ চুলকানির মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আজকের আলোচনার বিষয় হলো কিডনি রোগীদের ত্বকের চুলকানি ও এতে করণীয়।
কিডনী রোগীর চুলকানির লক্ষণ : আমাদের শরীরের ভেতর গত অঙ্গগুলোর মধ্যে CKD-তে সবচেয়ে বেশ চুলকানি হয়। ২০-৮০শতাংশ Renal failure রোগীদের চুলকানি হয়। কিডনি রোগীদের চুলকানি পুরো শরীরে হয়, তীব্র চুলকানি হয় এবং না চুলকিয়ে থাকতে পারেন না। ডায়ালাইসিস রোগীদেরও চুলকানি হয়। তবে-সেটা হয় Catheter-এর পাশে, পায়ে, মুখমন্ডলে এবং চুলকানি মাত্রায় হয়।
CKD-তে কেন চুলকানি হওয়ার কারণ : যে কোনো চুলকানির মূল কারণ হিস্টামিন ও বিভিন্ন নিউরো দন্ত মিটার নিঃসরণ। কিডনি রোগীর চুলকানি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। যেমন- ত্বকের শুষ্কতা (Chronic), Iron deficiency Anaemia Neuropathy, Hyper Parathyroidism, Hyper Vitaminosis ইত্যাদি। CKD রোগীর ক্ষেত্রে Acquired Perforating Disease, Lichen Simplex Chronicus, Prurigo Nodularis ইত্যাদি Complication-এর কারণে চুলকানি আরও বেড়ে যেতে পারে।
কিডনি রোগীর চুলকানির চিকিৎসা : নিয়মিত Emollient cream যা Linolenic Acid Cream, Olive oil এবং Baby oil ব্যবহার করবেন। কখনও কখনও ঝঃবৎড়রফ ঈৎবধস ব্যবহার করা লাগে। Soaking and Smearing পদ্ধতির চিকিৎসায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে আক্রান্ত স্থান সহনীয় মাত্রার তাপে পানি ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে, ভিজা অবস্থাতেই Triamcinolone Cream লাগাতে হবে প্রতিদিন রাতে এক সপ্তাহ। চুলকানির জন্য যে কোনো Antihistamine টেস্টেট ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ক্যাশ abapentin, Nalfweafine 5mg ও UVB থেরাপিতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। CKD রোগীদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াও নিয়মিত কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের (Nephrologist) পরামর্শ মোতাবেক দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।
লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট
চেম্বার : আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা