অনেকেই অভিযোগ করেন, বারো মাসই তারা কাশিতে ভোগেন। তবে যদি ঠাণ্ডা না লাগার পরেও দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকে এবং মাঝে মাঝে কফের সঙ্গে রক্ত দেখা যায়, তবে বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। চিকিৎসকদের মতে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এমন লক্ষণ হার্টের সমস্যার আগাম বার্তা হতে পারে।
হৃদরোগের অস্পষ্ট লক্ষণ
কফে লালচে বা গোলাপি রঙের রক্ত থাকা মানেই তা অ্যালার্জি বা সামান্য সংক্রমণের লক্ষণ নয়।
এসব উপসর্গ দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মহিলারা কেন বেশি ঝুঁকিতে?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলীপ কুমার জানান, অতিরিক্ত পরিশ্রম, অপুষ্টিকর খাবার এবং রজোনিবৃত্তির পর শারীরিক যত্নের অভাব নারীদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভারতের ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নারীদের ৪০ শতাংশ মৃত্যুর পেছনে রয়েছে হৃদরোগ। এর পেছনে ধূমপান, মদ্যপান ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অন্যতম কারণ।
হৃদরোগ প্রতিরোধে কী করবেন?
যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা পারিবারিক ইতিহাসে হৃদ্রোগ রয়েছে, তাদের জন্য ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে একবার হৃদ্রোগ সম্পর্কিত কিছু নিয়মিত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন- ইসিজি, রক্তচাপ পরীক্ষা, রক্তে চিনির মাত্রা, লিপিড প্রোফাইল, ‘সিটি ক্যালশিয়াম স্কোর’ (যা হৃদধমনীতে প্লাক জমছে কিনা তা জানায়)
জীবনযাপনে পরিবর্তন আনুন
প্রতিদিন অন্তত এক মাইল হাঁটার অভ্যাস করুন, ধূমপান ও মদ্যপান পুরোপুরি পরিহার করুন,পরিমিত ঘুম ও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন।
শুকনো কাশি ও কফে রক্ত মানেই সবসময় সংক্রমণ নয়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি হৃদরোগের একটি ‘সাইলেন্ট সিগন্যাল’ হতে পারে। সময়মতো পরীক্ষা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।