অনেকেই ওজন কমানোর জন্য এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলেন, যেগুলো বাইরে থেকে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও আসলে শরীরের ক্ষতি করে। বিশেষ করে না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা, অতিরিক্ত প্রোটিন বার খাওয়া, বা প্যাকেটজাত ফলের রস পান—এসব অভ্যাস আমাদের ধারণার বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। ফলে ওজন কমার বদলে উল্টো বেড়ে যায়।
না খেয়ে ওজন কমানো নয়, হতে পারে বিপরীত প্রভাব
ডায়েট করার মানেই না খেয়ে থাকা নয়।
অনেকে ভাবেন একবেলা উপোস করলেই ওজন কমবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে শরীর বিপরীতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এতে গ্যাস, আলসার, মাথাব্যথা বা হজমের সমস্যা তো হয়ই। পাশাপাশি বিপাকক্রিয়ার গতি কমে গিয়ে ওজন আরও বাড়তে পারে।
ফলের রস না, ফল চিবিয়ে খান
অনেকে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভেবে প্রতিদিন ফলের রস খান। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল চিবিয়ে খাওয়াই শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী। প্যাকেটজাত ফলের রসে থাকে উচ্চমাত্রার চিনি, যা ওজন বৃদ্ধির বড় কারণ হতে পারে। ফল চিবিয়ে খেলে মিলবে ফাইবারসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি, যা দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয় শরীরকে।
প্রোটিন বার: পরিমিত না হলে বিপদ
স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই স্ন্যাক্স হিসেবে প্রোটিন বার বেছে নেন। যদিও এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে, তবে অতিরিক্ত প্রোটিন বার খাওয়া ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন জমে ওজন বৃদ্ধি ও কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়েট কোক বা সোডাও হতে পারে বিপজ্জনক
কোল্ড ড্রিঙ্ক বাদ দিয়ে অনেকেই ডায়েট সোডা বা ডায়েট কোক পান করেন, ভাবেন এতে শরীরের ক্ষতি হবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পানীয়তেও থাকে চিনি ও কৃত্রিম উপাদান যা শরীরের বিপাক হার কমিয়ে দিয়ে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডায়েটে প্রোটিন দরকার, তবে মাত্রার সঙ্গে সমঝোতা নয়
ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে অবশ্যই প্রোটিন রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। তবে সেই প্রোটিনের পরিমাণ হতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ শরীরে জমা হয়ে গিয়ে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
ওজন কমাতে গিয়ে যেন শরীরের ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। তথাকথিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো সবসময় শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। তাই ডায়েট শুরু করার আগে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।