English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সব ধরনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্ভিস নিয়ে এলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

 
বাংলাদেশে সব ধরনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এভারকেয়ার হসপিটাল; এখানে প্রতিটি রোগীর সাধ্যের মধ্যে অত্যাধুনিক সুবিধা ব্যবহার করে দক্ষ মেডিকেল স্টাফ দ্বারা সাশ্রয়ী খরচে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, সংক্ষেপে বিএমটি বা BMT অটোলেগাস ও অ্যালোজেনিক এই ২ ধরনের হয়ে থাকে। বিএমটি (BMT) করার ঠিক পূর্বক্ষণে রোগীর দেহে উচ্চমাত্রার কেমো বা রেডিওথেরাপি বা দু’টোই একসাথে ব্যবহার করা হয়- যার মাধ্যমে রোগীর দেহে অবশিষ্ট সব ক্যান্সার কোষ মারা যায় এবং বোন ম্যারোতে ডোনার স্টেম সেলের জন্য উপযুক্ত জায়গা তৈরি হয়। ডোনার স্টেম সেল রক্তের শিরার মাধ্যমে রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। তা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে এবং রোগীকে একটি নতুন জীবন দান করে।
২০১৫ সালে ডাঃ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা (পূর্বে এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকা)-তে যোগ দেন। এর আগে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে বিশ্ববিখ্যাত কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার-এ দীর্ঘ ১০ বছর কর্মরত ছিলেন এবং সব ধরনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা বিএমটি (BMT) নিয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
২০১৬ সালে, সীমিত রিসোর্স নিয়ে ডাঃ সালেহ অটোলেগাস টাইপের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (BMT)-এর উপর ফোকাস করে একটি মাঝারি আকারের হেমাটোলজি ইউনিট তৈরি করেন। ডাক্তার, নার্স ও ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এসে একটি পরিপূর্ণ ও সকল আধুনিক সুযোগসুবিধাসম্পন্ন একটি বিএমটি (BMT) ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অ্যালোজেনিক বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়।
অতিসম্প্রতি, কেমোথেরাপির পাশাপাশি টোটাল বডি রেডিয়েশন যা টিবিআই (TBI) নামে পরিচিত তা সংযোজিত হয়- এটি বাংলাদেশে এই প্রথম। টিবিআই (TBI) সংযোজনের মাধ্যমে এভারকেয়ার হাসপাতাল সব ধরনের বিএমটি (BMT) করার সক্ষমতা অর্জন করেছে যা সারাদেশের জন্য একটি বিশেষ মাইলফলক। গত ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি একজন লিম্ফোমা রোগীর জন্য ব্যবহার করে হয়েছে। হাসপাতালটি লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ও অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানেমিয়ার জন্য অ্যালোজেনিক বিএমটি (BMT) পরিচালনা করছে; পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে দুইজন বিদেশি রোগীসহ ২০ জনের অধিক রোগীর বিএমটি (BMT) সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও হাসপাতালটি উন্নতমানের ফ্লোসিটোমেট্রি (Flowcytometry), ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি (Immunohistochemistry), পিইটি স্ক্যান (PET scan), প্লাজমা এক্সচেঞ্জ (Plasma exchange) ও আধুনিক ব্লাড ব্যাংক সেবাও দিয়ে থাকে।
এই চিকিৎসাগুলো বাংলাদেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোর খরচের সাথে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এখানে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সময়েও সব বিএমটি (BMT) ও লিউকেমিয়া সেবা চালু আছে।
ডাঃ সালেহ বলেন, “এখন দেশের বাইরে না গিয়েই হেমাটোলজিক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত যেকোনো রোগী এই আধুনিক চিকিৎসাসেবার সুবিধা পেতে পারেন।”
আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা বাংলাদেশের একমাত্র JCI স্বীকৃত হসপিটাল। এটি এভারকেয়ার গ্রুপ-এর একটি অংশ, যা ৩০+ হসপিটাল, ১৫টি ক্লিনিক, ৫০+ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে রয়েছে ২টি মহাদেশের ২৫টি শহরে; উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মিশন নিয়ে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন