মস্তিষ্কের রক্তনালির এনজিওগ্রামকে ডিএসএ বা ডিজিটাল সাবট্রাকশন এনজিওগ্রাম বলা হয়।
কেন করা হয়?
মস্তিষ্কের এনজিওগ্রাম দুটো উদ্দেশ্যে করা হয়:
lরোগ নির্ণয়: মস্তিষ্কের রক্তনালির রোগ (যেমন– রক্তনালি বন্ধ হওয়া বা ইস্কেমিক স্ট্রোক, রক্তনালি ফেটে যাওয়া বা হেমোরেজিক স্ট্রোক, অস্বাভাবিক সংযোগ) সঠিকভাবে নির্ণয় করা।
lচিকিৎসা: ক্যাথল্যাবে এনজিওগ্রাম মেশিনের সাহায্যে মাথা না কেটে অত্যাধুনিক চিকিৎসা করা।
আধুনিক চিকিৎসা (মাথা না কেটে)
lরক্তনালির ফোস্কা (অ্যানিউরিজম): কয়েল এম্বোলাইজেশন (কয়েল নামক যন্ত্রের সাহায্যে ফোস্কা বন্ধ করা)।
lএভিএম ও সিসিএফ: গ্লু এম্বোলাইজেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা।
lতীব্র স্ট্রোক: মেকানিক্যাল থ্রোমবেক্টমি
( স্ট্রোকের ছয় ঘণ্টার মধ্যে ক্যাথল্যাবে জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ড বের করে আনা)।
lব্লক অপসারণ: রক্তনালিতে স্ট্যান্ট বসানো।
lঅপারেশনের আগে: টিউমারে রক্ত চলাচল কমিয়ে রক্তক্ষরণ কমানো।
দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা
বাংলাদেশে স্ট্রোকের সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসা সরকারিভাবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও এই সুবিধা রয়েছে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস
