শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও নিরাপদ ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। তবে ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে শিশুর সঠিকভাবে সেরে ওঠাতে প্রভাব ফেলতে পারে বা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
অনেক সময় মা-বাবা পুরনো ওষুধের ব্যবহার, কম্পোজিশন বা ডোজ ঠিকমতো না মানার মতো ভুল করেন। এসব এড়াতেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ডা. রাস্তোগি বলেন, শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ৫টি বিষয়ে ধারণা থাকা উচিত। ডোজ, কনসেন্ট্রেশন, কম্পোজিশন থেকে শুরু করে পুরনো ওষুধ ব্যবহারের ঝুঁকি পর্যন্ত কী কী ভুল নজর এড়িয়ে যেতে পারে মা-বাবার, জেনে নিন।
প্যারাসিটামল কি সত্যিই নিরাপদ?
ডা. রাস্তোগি বলেন, প্যারাসিটামল শিশুদের জ্বর কমানোর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে ওষুধের পাশাপাশি উষ্ণ গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
তবে সতর্ক করেছেন— অন্য কোনো স্যালিসাইলেট, যেমন অ্যাসপিরিন, শিশুকে কখনো দেওয়া উচিত নয়। কারণ ভাইরাল অসুখের সময় এটি লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
ডোজ
ওষুধের ডোজ শিশুর বয়স নয়, বরং ওজনের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণ দিতে তিনি বলেন, ‘একই বয়সের দুই শিশু—একজনের ওজন ৮ কেজি আরেকজনের ১২ কেজি হলে, দুই জনের ডোজ সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
ড্রপস বনাম সিরাপ
ড্রপস আর সিরাপের কনসেন্ট্রেশন এক নয়। ডা. রাস্তোগি জানান, ‘১ মিলি ড্রপসে থাকে ১০০ মি.গ্রা. পারাসিটামল, কিন্তু সিরাপে থাকে ২৫ বা ৫০ মি.গ্রা।’ তাই কোন ফরম প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া দরকার।
কম্পোজিশন
বাজারে নানা ধরনের প্যারাসিটামলের কম্বিনেশন পাওয়া যায়। তবে শিশুদের জন্য মেফেনামিক এসিড বা আইবুপ্রোফেনের সঙ্গে প্যারাসিটামল মিশ্রিত ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া এই ধরনের কম্বিনেশন শিশুকে দেওয়া উচিত নয়।
পুরনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না
ডা. রাস্তোগি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘পুরনো খোলা বোতল ব্যবহার করবেন না। কয়েক মাস আগে খোলা হয়েছিল এমন বোতল থেকে ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়।’ এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়। তাই এক মাসের বেশি সময় আগে খোলা বোতল ফেলে দিয়ে নতুন সিল করা বোতল ব্যবহার করা উচিত।