এই শীতকালেও কি হঠাৎ দরদর করে ঘামছেন? এর পেছনে কি শুধুই স্ট্রেস, হরমোনের বদল, প্যানিক অ্যাটাক, নাকি আরও বড় কোনো কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে? চলুন, জেনে নিই কারণ।
শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা—যে কোনও সময়ই যদি অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সবসময় দৌড়ঝাঁপ বা শারীরিক পরিশ্রমের জন্যই ঘাম হয় না।
কোনও গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, পরীক্ষার আগে যদি ঘাম আসে, তাহলে সেটির কারণ হচ্ছে শরীরের ফাইট বা ফ্লাইট মোড। তখন স্ট্রেস হরমোন মুক্ত হয়, যার কারণে হাত, পা বা মুখ ঘামতে থাকে।
অন্যদিকে, প্রিমেনোপজ বা মেনোপজের সময় হঠাৎ হঠাৎ ঘাম আসা বা রাতে দরদর করে ঘেমে যাওয়া মূলত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে হয়। এই ধরনের ঘাম এবং স্ট্রেসজনিত ঘামের লক্ষণ প্রায় একরকম হতে পারে।
তাই বোঝা গুরুত্বপূর্ণ—কোনটা স্ট্রেসজনিত, আর কোনটা হরমোনের বদলের কারণে।
কখন সতর্ক হওয়া উচিত?
যদি রাতে ঘনঘন ঘামেন, এমনকি জামা বা বেডকভার পর্যন্ত বদলাতে হয়, তাহলে সচেতন হওয়া জরুরি। এর পেছনে সংক্রমণ, হরমোন পরিবর্তন বা অন্য কোনো রোগের কারণ থাকতে পারে। এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রাতে ঘামের সঙ্গে জ্বর বা অনির্দিষ্ট ক্লান্তি থাকলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। কিছু ওষুধের সাইড এফেক্টও অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে, যেমন পেইনকিলার, অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি বা অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ। এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধের পরিবর্তন করা যেতে পারে। সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
