English

32.5 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৮, ২০২৫
- Advertisement -

স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে আপনি যেসব কারণে সচেতন হবেন

- Advertisements -

ডা. মো. ইয়াকুব আলী: বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পেছনে অন্যতম বড় কারণ হলো রোগটি সময়মতো শনাক্ত না হওয়া, অজ্ঞতা ও সচেতনতার চরম অভাব। স্তন ক্যানসার একটি নীরব ঘাতক। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি ধরা না পড়লে মারাত্মক রূপ নিতে পারে।

সচেতনতার গুরুত্ব ও সময় : অক্টোবর ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। তবে সচেতনতা শুধু এক মাসের জন্য নয়, সারা বছরই দরকার। কারণ ক্যানসার যে কোনো সময়, যে কোনো বয়সে হঠাৎ করেই দেখা দিতে পারে। আগেভাগে জানা থাকলে এটি প্রতিরোধ ও চিকিৎসা- উভয়ই সম্ভব।

টিউমার কী এবং এর প্রকারভেদ : শরীরের কোষ যদি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে এবং পি-ের মতো হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় টিউমার। টিউমার প্রধানত তিন ধরনের। এর একটি হলো, বিনাইন, যা ক্ষতিকর নয়। আরেকটি হলো, প্রি-ম্যালিগন্যান্ট, যা ভবিষ্যতে ক্যানসারে রূপ নিতে পারে এবং আরেকটির নাম ম্যালিগন্যান্ট। এটিই মূলত ক্যানসার। চিকিৎসকরা হাতে, বায়োপসি বা এফএনএসি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন টিউমারটি কোন ধরনের। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার চিকিৎসা না করালে এক সময় শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী।

দেরিতে ধরা পড়লে কী হতে পারে : যদি স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়ে, তবে তা চতুর্থ বা পঞ্চম ধাপে গড়ায়। এ সময় দেখা দিতে পারেÑ এমন কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ হলোÑ স্তনে লালভাব ও গরম অনুভব করা, বগলের নিচে পি- বা ব্যথা, স্তনের চামড়ায় পরিবর্তন, টিউমারের আকার বড় হওয়া, লসিকাগ্রন্থি ও রক্তের মাধ্যমে ক্যানসারের বিস্তার। এই পর্যায়ে চিকিৎসা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে এবং রোগীর জীবনহানি ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

কীভাবে শুরুতেই শনাক্ত করা যায় : নিয়মিত স্ক্রিনিং ও সচেতনতাই হলো এ রোগ প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। যাদের বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি, তাদের প্রতি এক-দুই বছর অন্তর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। যাদের পারিবারিক ইতিহাসে স্তন ক্যানসার আছে, তারা ৪০ বছর থেকেই স্ক্রিনিং শুরু করুন। প্রতিমাসে একবার গোসলের সময় নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করুন। কোনো অস্বাভাবিকতা মনে হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

সচেতন হোন, জীবন বাঁচান : স্তন ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য। প্রয়োজন শুধু সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ। নিজের পাশাপাশি আশপাশের মানুষদেরও সচেতন করুন। প্রত্যেক নারীর জীবন অমূল্য। সচেতনতাই পারে এই নীরব ঘাতককে থামাতে।

লেখক : অধ্যাপক এবং ক্যানসার বিশেষজ্ঞ

রেডিয়েশন ও মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট

এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

চেম্বার : আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/lt2d
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন