বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যারা জিম করেন বা ফিটনেস সম্পর্কিত ক্ষেত্রে আছেন, তাদের জন্য প্রতিদিনের প্রোটিনের টার্গেট পূরণে প্রোটিন পাউডার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম বা সাপ্লিমেন্ট।
কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডার এবং শেকে রয়েছে ক্ষতিকর পর্যায়ে রয়েছে সীসার মাত্রা, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বতন্ত্র ভোক্তা সংস্থা কনস্যুমার রিপোর্ট ২৩টি জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডার ও শেক পরীক্ষা করে দেখেছে, এর দুই-তৃতীয়াংশ ব্র্যান্ডে সীসার মাত্রা নিরাপদ সীমার থেকেও অনেক বেশি।
সংস্থার খাদ্য নিরাপত্তা গবেষণা ও পরীক্ষার প্রধান সানা মুজাহিদ বলেন, “পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাৎক্ষণিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে ঝুঁকি থাকতে পারে।”
কোন পাউডারে বেশি সীসা
Consumer Reports-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বোচ্চ সীসা পাওয়া গিয়েছে Naked Nutrition-এর Vegan Mass Gainer (৭.৭ মাইক্রোগ্রাম/সেবা) এবং Huel-এর Black Edition (৬.৩ মাইক্রোগ্রাম/সেবা) পাউডারে। অন্যান্য পাউডারে ০.৫–৩ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে সীসা পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি বলেন, “এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপক ড. পিটার কোহেন বলেন, “প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে সীসা এবং অন্যান্য ভারী ধাতু অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে, তাই ক্রেতাদের সতর্ক থাকা জরুরি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তৃতীয় পক্ষের মান যাচাই (যেমন USP বা NSF) প্রমাণিত কোম্পানির পণ্য বেছে নিলে নিরাপদ থাকতে পারে।
গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য সতর্কতা
গবেষক জেনা ফোরসাইথ, যিনি স্ট্যানফোর্ডে লিড বিষক্রিয়ার উপর কাজ করেন, বলছেন, “গর্ভবতী বা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন এমন নারীদের এই ধরনের প্রোটিন পাউডার এড়ানো উচিত।”
ভোক্তাদের পরামর্শ
ড. লুবি বলেন, “প্রোটিনের জন্য পাউডার ব্যবহার করাই ঝুঁকি সৃষ্টি করছে কি না, তা ভেবে দেখার বিষয়। কারণ অন্যান্য খাবার থেকেও প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাওয়া যায়।”