বাংলাদেশ টেলিভিশন রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ট্র্যাব কর্তৃক ট্র্যাব মিডিয়া আইকনিক এওয়ার্ডে সেরা নৃত্যশিল্পীর পুরস্কার পেলেন উম্মে তাবাসসুম খান মিতিন। গত ৩১ মে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তিনি ছাড়াও স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য মিডিয়া জগতের গুণী অনেক ব্যক্তিকেই এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সংগঠনের সভাপতি কাদের মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ প্রমুখ।
নৃত্যের ওপর পুস্কারপ্রাপ্তি এটাই উম্মে তাবাসসুম খান মিতিনের প্রথম পুরস্কার নয়, এর আগে ভারতের বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন কর্তৃক শান্তি নিকেতন মঞ্চে এবং আসামের গোহাটিতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলাদেশেও বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশন-বিসিআরএ কর্তৃক বিসিআরএ এওয়ার্ড এবং বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক বাবিসাস এওয়ার্ডেও সেরা নৃত্যশিল্পীর পুরস্কার পান।
উম্মে তাবাসসুম খান মিতিন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর ভারত সরকারের অধীনে আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে ভারত চলে যান। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথিবীখ্যাত লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি দেশ টেলিভিশনে নিউজ এ্যান্ড কারেন্ট এ্যাফেযার্সের অধীনে ডিজিটাল বিভাগে কর্মরত।
উল্লেখ্য, মায়ের উৎসাহেই তিন বছর বয়সে উম্মে তাবাসসুম মিতিন খানের নাচের হাতেখড়ি নৃত্যের গুরু আমিরুল ইসলাম মনির কাছে। এরপর বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতেও নাচের ওপর কোর্স করেছেন। মূলত: নাচের পথচলা আসলে তখন থেকেই। নাচের ওপর বিটিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে পারফর্ম করা ছাড়াও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত একজন নৃত্যশিল্পী। এর বাইরে ভারতের কয়েকজন নৃত্যগুরুর কাছ থেকেও নৃত্যের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
উম্মে তাবাসসুম খান মিতিন বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি শুকরিয়া যিনি আমাকে সবকিছু করার শক্তি দিয়েছেন। সেইসঙ্গে আমার এত কিছুর অর্জনের পেছনে আমার বাবা-মায়ের অবদান অসীম | তাদের সাপোর্ট ছাড়া আমি কোনকিছুই অর্জন করতে পারতাম না| নৃত্যগুরু আমিরুল ইসলাম মনি স্যারের প্রতিও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তার আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই আজ আমি একজন নৃত্যশিল্পী হতে পেরেছি।