ভারতের লোকসভায় ফের হট্টগোল। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করছিলেন, তখনই উত্তাল হয়ে ওঠেন বিরোধী এমপিরা। বিলের কাগজ ছিঁড়ে টুকরো করে অমিত শাহের দিকে ছুড়ে দেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন স্পিকার ওম বিড়লা। শেষমেশ অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করতে হয়।
এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনটি বিল পেশ করেন—১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল।
সবকটি বিল নিয়েই আপত্তি জানায় বিরোধী শিবির। বিশেষ করে ১৩০তম সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ওঠে।
বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য মন্ত্রী যদি গুরুতর অপরাধে টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তবে ৩১তম দিন থেকে তাঁর মন্ত্রিত্ব খারিজ হয়ে যাবে। পাঁচ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধকে ধরা হবে ‘গুরুতর অপরাধ’ হিসাবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ব্যবহার করে বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পারে। বিশেষ করে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বিপাকে ফেলাই এর আসল লক্ষ্য।
লোকসভায় উল্টো দিকের ওয়েলে দাঁড়িয়ে বিরোধী সাংসদরা কাগজ ছিঁড়ে অমিত শাহর দিকে ছুড়ে দেন। এ সময় শাহ বিলের অংশ পাঠ করছিলেন। তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পুরো পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্পিকার বহুবার শান্ত করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়।
বিরোধীদের এই আচরণে কড়া সমালোচনা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, দেশের মানুষ আমাদের এখানে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছেন। বিরোধীরা কি কেবল হট্টগোল করতেই আসেন? গণতন্ত্রকে অপমান করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমেই সমাধান খুঁজতে হবে।