English

26.1 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫
- Advertisement -

কোমা থেকে বেঁচে ফেরা রোগীর হাসপাতালের বিল ১৭ কোটি!

- Advertisements -

পুয়ের্তো রিকোর অ্যালেক্সিক হার্নান্ডেজ ওষুধ নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশে ২০১৯ সালে গিয়েছিলেন মেক্সিকোয়। স্বপ্ন ছিলো সেখানে থেকে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে সেবা করবেন মানুষের। কিন্তু স্বপ্নপূরণ তো দূর অস্ত্, মেক্সিকো পৌঁছনোর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অ্যালেক্সিস।

জানা গেছে, টানা ৭ মাস হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থেকে, শরীরে ১৯টি অস্ত্রোপচার করিয়ে ক্ষত বিক্ষত শরীরে কোনওক্রমে দেশে ফিরে আসেন তিনি। যে চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৭ কোটি টাকার সমান) ঋণের চিঠি তার হাতে পৌঁছেছে। অ্যালেক্সিস বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে শোধ করবেন এই বিল।

পুরো নাম অ্যালেক্সিক হার্নান্ডেজ। ২০১৯ সালে তিনি মেক্সিকো রওনা দিয়েছিলেন। গুয়াডালাজারায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি থাকতে শুরু করেন। কলেজের খুব কাছে ছিল এই আবাসনটি। অন্যান্য অনেক ছাত্রও এই আবাসনে থাকতেন।

অ্যালেক্সিস মেক্সিকোর গুয়াডালাজারায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি থাকতে শুরু করেন। কলেজের খুব কাছে ছিল এই আবাসনটি। এক দিন কলেজ শুরুর ঠিক আগে গোসল সেরে ক্লাসের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন অ্যালেক্সিস। যে মুহূর্তে তিনি গরম জলের মেশিন চালু করেন, সঙ্গে সঙ্গেই সেটিতে বিস্ফোরণ হয়।

এতে অ্যালেক্সিসের সারা শরীর পুড়ে যায়। শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। শরীরে অসহ্য জ্বালা ভাব। মনে হচ্ছিল যেন শরীর ফেটে যাবে এখনই। স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় টেক্সাসের সেনা হাসপাতালে। পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা জন্য সুনাম রয়েছে এই হাসপাতালের।

ঘটনার পর প্রথম ২০ দিন কোমাতেই কাটে অ্যালেক্সিসের। তার পরের ২ মাস আইসিইউ-তে। শরীরে ১৯টি অস্ত্রোপচারের পর কিছুটা সুস্থ হন তিনি। কিন্তু খাওয়া, হাঁটা, বসা, দাঁড়ানো, কথা বলা- সব যেন কিছুই নতুন করে শিখতে হয় তাকে।

প্রতি দিন এত রকম চিকিৎসা করা হত যে, রোজ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠতেন আর ঘুমতে যেতেন রাত ২টায়। এই ভাবে ৭ মাস হাসপাতালেই কেটে যায় তার। ৭ মাস পর পুয়ের্তো রিকোয় নিজের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি, ফের নতুন করে বাঁচার আশা নিয়ে।

কিন্তু বাড়ি পৌঁছনোর কয়েক দিনের মধ্যেই তার হাতে এসে পৌঁছায় হাসপাতালের চিঠি। তাতে লেখা, চিকিৎসার খরচ বাবদ হাসপাতাল অ্যালেক্সিসের থেকে ২০ লাখ ডলার টাকা পায়। এই বিল দ্রুত পরিশোধ করতেও বলা হয় তাকে। এর পর থেকেই যেন বাঁচার ইচ্ছা ফের হারান তিনি। এত টাকা কী ভাবে জোগাড় করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

আইনজীবী, সরকারি কার্যালয়, বিমা অফিসের দরজায় ঘুরেও এখনও কোনও সুরাহা পাননি তিনি। তবে ইচ্ছাশক্তির জোরে এত টাকার বোঝা মাথায় নিয়ে এবং শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করেও আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/eesk
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন