ঘানার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি হ্রদে নৌকাডুবিতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু।
রবিবার দেশটির সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছে।
সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুঃখজনকভাবে, নিহতদের মধ্যে ১১ জন শিশু। যাদের বয়স দুই বছর থেকে ১৪ বছর। এদের পাঁচ জন ছেলে ও ছয় জন মেয়ে।
শনিবার পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার ক্রাচি ভোল্টা হ্রদে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিশু ও অন্যান্য হতাহতরা এ সময় ওকুমা থেকে বোভিমে যাচ্ছিলেন।
সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় চার জন প্রাপ্তবয়স্ক বেঁচে গেছেন। দুর্ঘটনাটিকে ‘নিরাপত্তা মানের একটি গুরুতর ও অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে নৌকাটি অতিভার বহন করছিল।
দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য নৌবাহিনীসহ একটি বিশেষ তদন্ত দল কাজ করছে। এছাড়াও, কর্তৃপক্ষ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং যাত্রী সীমা ও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি “দীর্ঘমেয়াদী লেকসাইড নিরাপত্তা অভিযান” শুরু করবে।
ভোল্টা হ্রদে প্রায়ই নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলোর অধিকাংশই অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও গাছের গুঁড়ির সঙ্গে নৌযানের সংঘর্ষের কারণে ঘটে।
আগস্ট মাসে, একই ধরণের দুর্ঘটনায় ছয় যাত্রী মারা যায়।
২০২৩ সালের মে মাসে, একটি নৌকা ডুবে থাকা গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা খেয়ে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ঘানার মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ‘এই বিপর্যয়ের মূল কারণ উন্মোচন করতে এবং এই ধরণের দুর্ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে—তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’