ফিলিপাইনে মানব পাচারের দায়ে একজন চীনা নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি ফিলিপাইনের নাগরিক সেজে স্থানীয় মেয়র হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) পাচারের ওই মামলায় আরও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, রাজধানী ম্যানিলার উত্তরে অবস্থিত একটি শহরের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ৩৫ বছর বয়সী অ্যালিস গুও চীনা-পরিচালিত একটি জুয়া কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেখানে শত শত লোককে অনলাইন প্রতারণা চালানোর জন্য বাধ্য করা হতো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অলিভিয়া টোরেভিলাস বলেছেন, অ্যালিস গুও ফিলিপাইন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
ম্যানিলার আঞ্চলিক আদালতের বাইরে থেকে টোরেভিলাস বলেন, ‘মাত্র এক বছরেরও বেশি সময় পর আদালত … আমাদের অনুকূল রায় দিয়েছে। অ্যালিস গুওসহ আরও সাতজন সহ-অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে… যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।’
২০২৪ সালের মার্চ মাসে একজন ভিয়েতনামী কর্মী জুয়া কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ গুও-এর সঙ্গে সংযুক্ত কেন্দ্রটিতে অভিযান চালায়- যার মধ্যে অফিস ভবন, বিলাসবহুল ভিলা এবং একটি বড় সুইমিং পুল ছিল।
ঘটনাস্থলে ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিপিনো, চীনা, ভিয়েতনামী, মালয়েশিয়ান, তাইওয়ানিজ, ইন্দোনেশিয়ান এবং রুয়ান্ডার নাগরিককে পাওয়া যায়।
ফিলিপাইনের সংঘবদ্ধ অপরাধ-বিরোধী কমিশনের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গুও এবং আরও তিনজনকে প্রতারণা কেন্দ্রটির ভেতরে ‘মানব পাচার সংগঠিত করার’ জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, আরও চারজনকে ‘পাচারের কাজ’ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তার আসল পরিচয় প্রকাশের পর গত জুন মাসে ম্যানিলার একটি আদালত রায় দিয়েছিল, একজন চীনা নাগরিক হিসেবে তিনি প্রথমেই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য ছিলেন না। তার পদ বাতিল করা হয়েছে।
