থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। এই যুদ্ধ বন্ধ করতে সরাসরি ফোন করবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও, এটি হল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ। এটি আজ শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল আমাকে ফোন করতে হবে। আর কে বলবে, আমি ফোন করব এবং দুই শক্তিশালী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামাব?’
জুলাই মাসে ট্রাম্প বাণিজ্য আলোচনার চাপ ব্যবহার করে সাময়িক স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করেছিলেন। সেই সংঘর্ষে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছিল, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ।
থাইল্যান্ডের মন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকেউ বলেছেন, সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা উপযুক্ত নয়। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান মানেটের শীর্ষ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, দেশটি যে কোনো সময় আলোচনা করতে প্রস্তুত।
দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলের শত শত হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে ৯ জন নাগরিক নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে চারজন সৈন্য নিহত ও ৬৮ জন আহত হয়েছে।
সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে থাইল্যান্ডের একটি শীর্ষ জেনারেল সোমবার বলেছেন, ‘সামরিক লক্ষ্য হল কম্বোডিয়ার সামরিক ক্ষমতা দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা।’
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ডের সৈন্যরা নাগরিক এলাকা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে, যা থাইল্যান্ড প্রত্যাখ্যান করেছে।
