নির্বাচনের মাত্র তিন দিন পর গিনি বিসাউয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ২৫ লাখ জনসংখ্যার এই পশ্চিম আফ্রিকান দেশে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল দেশ। ধারণা করা হচ্ছিল বিরোধী প্রার্থী ফার্নান্দো দিয়াস এগিয়ে আছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এম্বালো পরাজিত হতে যাচ্ছেন। খবর আল-জাজিরার।
কিন্তু দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে আচমকা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে গুলির শব্দ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানায়, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার’ স্বার্থে তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট এম্বালোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, দেশের রাজনীতিকদের একাংশ এবং আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সদস্যরা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। সামরিক নেতৃত্ব জানায়, এক বছরের জন্য তারা ক্ষমতায় থাকবে এবং দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।
বিরোধীদলীয় নেতা ফার্নান্দো দিয়াস আত্মগোপনে চলে গেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জনগণকে রাস্তায় নেমে ফল প্রকাশের দাবি জানান। এছাড়া দেশের পরিচিত বিরোধী নেতা ডোমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাও সেনারা গ্রেপ্তার করেছেন।
ক্ষমতাচ্যুত এম্বালো কয়েক দিন ধরেই জনসমক্ষে আসছিলেন না। অভ্যুত্থানের পর তাঁকে সেনেগালে পাঠানো হয়েছে। সামরিক নেতাদের একজন মেজর জেনারেল হর্তা ইনতা-আকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৭৪ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতার পর গিনি বিসাউয়ে বহু সফল ও ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ইতিহাস রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।
