পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান রেল স্টেশনে একটি পানির ট্যাঙ্ক ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বর্ধমান স্টেশনে দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের মধ্যে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২৫ হাজার ৮০০ গ্যালন পানির একটি ট্যাঙ্ক ভেঙ্গে পড়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার কারণে বর্ধমান স্টেশনের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই এবং তিন নম্বর প্লাটফর্মের মাঝখানে একটি ২৫ হাজার ৮০০ গ্যালনের পানি ট্যাঙ্ক ছিল। সে সময়ে প্লাটফর্মে কয়েকশ যাত্রী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আচমকাই পানির ট্যাঙ্কটি বিকট শব্দে প্ল্যাটফর্মের শেডের ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। শেডের নিচে থাকা যাত্রীরা পানির ট্যাঙ্ক ও শেডের নিচে চাপা পড়েন।
সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ প্রশাসন এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৭ জনের অবস্থা গুরুতর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্ল্যাটফর্মের কাছে শেডের নিচে বসে ছিলেন বেশ কয়েকজন। হঠাৎ বিকট শব্দে শেডের ওপর ভেঙ্গে পড়ে পানি ট্যাঙ্কটি। এতে বেশ কয়েকজন চাপা পড়েন। ছোটা-ছুটিতে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে পড়ে যায়। তবে ভারতীয় রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত্যু বিষয়টি তাদের জানা নেই।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। আমরা ওখানে যাচ্ছি। আহতদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। এখনো পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে নেই।
তিন বছর আগে ২০২০ সালে এই বর্ধমান রেল স্টেশনে মূল ভবনের পুরোনো বারান্দার একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। এতে জখম হয়েছিল বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনার পর স্টেশনের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছিল। আবার একই ধরনের ঘটনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।