এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
পাঞ্জাব সেফ সিটি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় কিরণের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তাঁকে ইধি ফাউন্ডেশন পরিচালিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান ইধি সেন্টার থেকে খুঁজে বের করা হয়।
ইধি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, সেফ সিটি সিস্টেমে থাকা তথ্যের সঙ্গে কিরণের দেওয়া বিবরণ মিলে যাওয়ার পর তাঁকে মা–বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিরণ কর্মকর্তাদের জানান, ইসলামাবাদের বাসা থেকে আইসক্রিম কিনতে বেরিয়ে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে ইসলামাবাদে ইধি ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি ইধি সেন্টারে নিয়ে যান।
পরবর্তী সময় প্রয়াত বিলকিস ইধি শিশু কিরণকে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে আসেন। তখন থেকে কিরণ ইধি ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এ সময়ে তিনি ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা লাভ করেন।
জিও নিউজকে কিরণ বলেন, ইধি সেন্টারে কাটানো সময় তাঁর জন্য ‘খুবই আনন্দের’ ছিল। তবে মা–বাবার সঙ্গে দেখা হওয়াকে তিনি ‘আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন’ বলে উল্লেখ করেন।
অনেক চেষ্টা–তদবির
ইধিসেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাবানা ফয়সাল বলেন, কিরণের পরিবারকে খুঁজে বের করার জন্য তাঁকে কয়েকবার ইসলামাবাদে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু এত দিন কোনো কাজ হয়নি।
শাবানা আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে ১২ জন হারানো শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে করাচির পাঁচ মেয়েও ছিল।
পরিবারের সঙ্গে কিরণের পুনর্মিলনের খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে সবাই আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানান এবং ইধি ফাউন্ডেশনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কিরণের বাবা করাচিতে পৌঁছালে কিরণের সঙ্গে তাদের হৃদয়স্পর্শী পুনর্মিলন ঘটে। তিনি তাঁর মেয়েকে প্রায় দুই দশক ধরে আশ্রয়, শিক্ষা ও যত্ন দেওয়ার জন্য ইধি ফাউন্ডেশনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।