বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে যদি কেউ বিয়ে না করেন তাহলে তাকে ‘ধর্ষক’ বলা যায় না বলে রায় দিয়েছে ভারতের ওড়িশা হাইকোর্ট।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত রায় দিয়েছে আদালত।
রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি এস কে পানিগ্রাহী জানিয়েছেন, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বললে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অপব্যাখ্যা করা হয়।
তিনি বলেন, নিমাপডাবাসী এক নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তারপর সেই ব্যক্তি লাপাত্তা হয়ে যান। অভিযোগকারী ওই নারী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ সেই ব্যক্তিকে আটক করে ধর্ষণের মামলা করেন। অভিযুক্ত নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর অভিযুক্ত হাইকোর্টে আবেদন করেন।
বিচারপতি তার রায়ের ব্যাখ্যায় জানান, এই বিষয়ে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনটিকে কোনো সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত নয়। বিশেষ করে একজন মহিলা যখন সম্পূর্ণ নিজের পছন্দে কোনো সম্পর্কে প্রবেশ করেন।
তিনি জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরুষদের লালসার শিকার হন গ্রামের দরিদ্র নারীরা। ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন প্রায়শই তাদের দুর্দশা দূর করতে ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে আদালত। এ সময় তাকে তদন্তে সহযোগিতার এবং অভিযোগকারীকে কোনো ভীতি প্রদর্শন না করার নির্দেশ দেন।