প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল বারাদারির বাসিন্দা পাত্রীর। দুই পরিবারের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনার পর সম্প্রতি তাদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। ঠিক ছিল গত রবিবার বরেলীর ভূতেশ্বরনাথ মন্দিরে বিয়ে করবেন তারা।
এ কথা শোনামাত্রই সন্দেহ হয় কনের! তার মনে হয়, বিয়ের আগেই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন হবু স্বামী। এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে একটি গাড়িতে চেপে বরকে ধাওয়া করেন কনে এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
একপর্যায়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ভীমোরা থানার কাছে হবু স্বামীকে ধরে ফেলেন তিনি। একটি বাসে চেপে পালিয়ে যাওয়ার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান কনের হবু ওই স্বামী। এরপর সরাসরি পাত্রকে নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে চলে যান কনে।উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে ভীমোরা মন্দিরে বিয়ে হয় তাদের।
এনডিটিভি বলছে, বিয়েতে বরের না আসার খবর পেয়ে নিজেই তাকে খুঁজতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মণ্ডপে বসে বিয়ের অপেক্ষায় থাকা কনে। পরে বরেলী শহরের সীমানার বাইরে একটি থানার কাছে বাসে সন্ধান পাওয়া যায় বরের।
টানা দুই ঘণ্টা ধরে নাটকীয় নানা ঘটনার পর নববধূ, তার পরিবার এবং সেই সঙ্গে পাত্রের পরিবার তাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। পরে বরের পরিবার বিয়েতে সম্মতি দেয় এবং বরেলী শহরের বাইরে একটি মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়।