যুক্তরাজ্য ক্রমাগত করোনভাইরাস সংক্রমণের উচ্চস্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগ সতর্ক করেছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অসহনীয় চাপের মুখে ফেলছে সমত্র স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে। যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন উপদেষ্টা কমিটি আজ সোমবার ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য বুস্টার প্রোগ্রাম সম্প্রসারিত করার বিষয়টি সমর্থন করেছে।
জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাক্সিনেশন অ্যান্ড ইমিউনিজেশন (জেসিভিআই)-এর পরামর্শমতে, ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পরে একটি বুস্টার দেওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্য সেপ্টেম্বর থেকে ৫০-এর বেশি বয়সীদের এবং কভিড-১৯-এর ‘ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী’কে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক কোর্সের পরে ব্যবধান কমিয়ে পাঁচ মাস করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ১২ মিলিয়নেরও বেশি বুস্টার দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি সোমবার জানায়, যাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া রয়েছে তারা কভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা লাভ করছে।
এ ছাড়াও, জেসিভিআই ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। প্রথম ডোজ দেওয়ার কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ পর বা সংক্রমিত হলে পজিটিভ হওয়া সাপেক্ষে ওই একই সময় পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
কমিটি বলেছে, প্রথম ডোজ থেকে সুরক্ষা হ্রাস পেতে শুরু করে। দ্বিতীয় ডোজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং অন্যকে সংক্রমিত করার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
জেসিভিআই-এর কভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন চেয়ার ওয়েই শেন লিম বলেন, এই টিকাগুলো আমাদের সুরক্ষাকে ২০২২ পর্যন্ত প্রসারিত করতে সহায়তা করবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/xl40
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন