নতুন করে ঘর বাঁধার আশায় দুই শিশু সন্তানকে ১৫ তলা ভবন থেকে নিচে ফেলে দিয়েছিলেন চীনা যুগল ঝাং বো ও ইয়ে চেংচেন। এ ঘটনায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বুধবার তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী চংকিংয়ে ঘটনা ঘটেছে ।
শিশুসন্তান খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। এই শিশুদের বাবা ছিলেন ঝাং বো। আর ইয়ে চেংচেন ছিলেন তার বান্ধবী। ঘটনার এক বছর আগে ইয়ে চেংচেনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঝাং বো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের শুরু থেকে নিজের বিবাহিত জীবন ও দুই সন্তানের কথা চেংচেনের কাছে গোপন করেছিলেন ঝাং। তবে পরে সত্য জানার পরও ঝাংয়ের সঙ্গে দেখা করতেন ইয়ে চেংচেন। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে ছেড়ে চেংচেনের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন ঝাং বো।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঝাং বো স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু দুই সন্তানকে নিজের কাছে রাখেন ঝাং বো। দুই সন্তান ভবিষ্যৎ জীবনের পথে বাধা হতে পারে বলে মনে করতেন চেংচেন। তাই দুই সন্তান খুনের জন্য বার বার ঝাংকে জোর করতে থাকেন তিনি। এরপরই দুইজনে মিলে পরিকল্পনা করেন, বহুতল থেকে শিশুদের ফেলে দিয়ে ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার।
২০২০ সালের ২ নভেম্বরে ঝাং তার সন্তানদের ১৫ তলা অ্যপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন। এই খুনের ঘটনায় ঝাং এবং ইয়ের মৃত্যুদণ্ড হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে।বুধবার তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে ঝাং ও ইয়ের মৃত্যুদণ্ড কীভাবে কার্যকর করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে চীনে বেশিরভাগ সময় লেথাল ইঞ্জেকশন কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে নিহত দুই সন্তানের মা চেন মেইলিন বলেছেন, ‘আমাদের পরিবার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দুঃস্বপ্নের যন্ত্রণা ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তার অবসান হল।’
মানবতা বিলুপ্তির পথে।