পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিজের হোস্টেল কক্ষে শ্বেতা আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার রুমমেট প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং তৎক্ষণাৎ হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানানো হয়।
ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি সুইসাইড নোটে শ্বেতা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষকরা মানসিকভাবে হয়রানি করতেন, পরীক্ষা সময়মতো নিতেন না এবং পড়াশোনার ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি করতেন।
শ্বেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলেজে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তারা কলেজ চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং কলেজের বাইরের রাস্তা অবরোধ করে দেন।
তাদের দাবি, সুইসাইড নোটে যেসব শিক্ষকের নাম রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কলেজের পরিচালক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হবে।
স্থানীয় থানার অফিসার রবিশঙ্কর চারন জানান, ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা পৌঁছালে ময়নাতদন্ত করা হবে।