চকলেট বাচ্চাদের খুবই প্রিয় খাবার। অনেক বাচ্চাই এটি পাওয়ার জন্য ব্যাকুল থাকে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতে ঘটেছে আরেকটু ভিন্ন ঘটনা। বিশেষ এক চকলেট না পেলে বাচ্চাদের আচরণগত পরিবর্তন দেখা যায় এবং বারবার ওই চকলেট পাওয়ার জন্যই আবদার করতে থাকে। অবশেষে বেরিয়ে এল নেপথ্যের রহস্য।
ঘটনাটি ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মেঙ্গালুরুর। সেখানকার কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ওই বিশেষ চকলেট খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তা বেড়েছিল অভিভাবকদের। চকলেট কেনার জন্য অর্থ না পেলে, বাচ্চাদের ব্যবহারেও আশ্চর্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তারা অদ্ভূত আচরণ করতো। এরপর অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ তদন্তে নামতেই বেরিয়ে এল রহস্য। রঙিন রাংতায় মোড়া যে জিনিস চকলেট বলে দেদার বিক্রি হচ্ছিল, তা ছিল আসলে গাঁজা। চকলেটের মধ্যে গাঁজার নির্যাস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। আর তা খেয়েই আসক্ত হয়ে পড়ছিল এলাকার বাচ্চারা।
বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে মেঙ্গালুরু পুলিশ দু’টি দোকান থেকে মোট ১২০ কেজি মাদক মেশানো চকলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। একটি দোকান থেকে ৮৫ কেজি এবং অন্য দোকান থেকে ৩৫ কেজি মাদক-চকলেট উদ্ধার করা হয়। দুই দোকানের মালিককেই গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাদক মেশানো প্রতিটি চকোলেট ২০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল। আর তা কিনতে দোকানে ভিড় করছিলেন কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কুলদীপ জৈন বলেন- ফরেন্সিক রিপোর্টে দেখা গেছে, চকলেটের মধ্যে গাঁজার নির্যাস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। চকলেটগুলো উত্তর ভারত থেকে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ থেকে আনা হচ্ছিল। দোকানের মালিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর নেপথ্যে কোনও মাদকচক্র কাজ করছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”