শ্রেয়াশের মৃত্যুর সঙ্গে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক বা ঘৃণামূলক অপরাধের (হেট ক্রাইম) সংযোগ খুঁজে পায়নি কর্তৃপক্ষ।
তার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কের ভারতীয় মিশন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেট বলেছে, ওহিওতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র শ্রেয়াস রেড্ডি বেনিগারের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলছে। তবে এ পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কনস্যুলেটের যোগাযোগ রয়েছে এবং তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, গত সোমবার নীল আচার্য নামে পারডু ইউনিভার্সিটির এক ভারতীয় ছাত্রকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি আগেরদিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নীলের মা গত রোববার সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে বলেছিলেন, তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে সবশেষ একজন উবারচালক ক্যাম্পাসে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন নীল আচার্য। তাকে খুঁজে পেতে সবার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তার মা গৌরি। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
তার আগে, গত ১৬ জানুয়ারি জর্জিয়ার লিথোনিয়ায় বিবেক সাইনি নামে এক ভারতীয় শিক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি হরিয়ানার পঞ্চকুলার বাসিন্দা ছিলেন।
বিবেক লিথোনিয়াতে এমবিএ পড়ছিলেন এবং একটি দোকানে খণ্ডকালীন কাজ করতেন। ওই দোকানে জুলিয়ান ফকনার নামে একজন গৃহহীন ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। বিবেক সাইনি লোকটিকে চিপস, পানি, এমনকি একটি জ্যাকেটও দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু ঘটনার দিন ২৫ বছর বয়সী ভারতীয় এ তরুণ ফকনারকে বিনামূল্যে খাবার দিতে অস্বীকার করেন এবং এর জেরেই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আকুল ধাওয়ান নামে আরও এক ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তাকে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় আরবানা-চ্যাম্পেইনের বাইরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
আকুল নিখোঁজ হওয়ার পরে তার বাবা-মা ইউনিভার্সিটি পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা এবং নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন। আকুলের বাবা ইশ ধাওয়ান বলেন, একটি ছেলে এক ব্লকেরও কম, মাত্র এক মিনিটের দূরত্বে বসে থাকতে থাকতে ঠান্ডায় জমে মারা গেলো। অথচ তাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। এটি অদ্ভুত।