সরকারি বাসভবন ছাড়লেন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আজ শুক্রবার ভারতের রাজধানী দিল্লির ৬, ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের সরকারি বাংলো ছাড়েন তিনি। স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল, দুই সন্তান ও বাবা-মা’কে সাথে নিয়ে সরকারি বাংলো ছাড়েন কেজরিওয়াল।
এবার কেজরিওয়ালের নতুন ঠিকানা হবে দিল্লির লুটিয়েন্স জোন। জানা গেছে আপাতত দিল্লির ৫, ফিরোজ শাহ রোডে আপ রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অশোক মিত্তালের সরকারি বাসভবনে থাকবে কেজরিওয়ালের পরিবার।
আবগারি নীতি দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই ও ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারের মেয়াদ ভোগ করেছেন কেজরিওয়াল। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দিল্লির তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কেজরিওয়াল। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন জনগণের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন না। ফলে তার জায়গায় গত ২২ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন অতিশী মারলেনা। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে না থাকার কারণেই তাকে বাধ্য হয়েই এই সরকারি বাংলো ছাড়তে হলো।
এই অবস্থায় একাধিক নেতা তাদের সরকারি বাসভবনের দরজা করে খুলে দিয়েছিলেন কেজরিওয়ালের জন্য। অবশেষে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অশোক মিত্তালের সরকারি বাসভবনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন কেজরিওয়াল। আর তার এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি অশোক মিত্তাল।
তিনি বলেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, আমি জানতে পারি যে তার থাকার জন্য কোনো বাড়ি নেই। আমি তাকে আমার অতিথি হিসেবে আমার দিল্লির বাড়িতে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সম্ভবত দলের অন্যান্য কর্মী ও নেতারাও তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যাইহোক তিনি আমার বাড়ি বেছে নিয়েছেন এবং বাড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আমার সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা জেনে আমি খুবই আনন্দিত। একজন আপ কর্মী এবং সংসদ সদস্য হিসেবে এটি আমার জন্য বড়ই আনন্দদায়ক। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাবো। আমি আশা করি আসন্ন দিল্লি নির্বাচনে, জনগণ তাকে বরাবরের মতো সমর্থন করবে এবং তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে আবারও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’
আপ দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে কেজরিওয়ালকে ‘আত্মত্যাগের উদাহরণ’ বলে আখ্যায়িত করে লেখা হয়েছে, ‘আজ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার পরিবারসহ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন খালি করেছেন। এখন দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালের এই সততার উপর তাদের আস্থা দেখাবে এবং তাকে আবার মুখ্যমন্ত্রী বানাবে।’