English

24.6 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫
- Advertisement -

সুমুদ ফ্লোটিলায় আটক অ্যাক্টিভিস্টদের নেওয়া হচ্ছে ইসরাইলে

- Advertisements -

গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।  এ সময় নৌযানগুলোতে থাকা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য অ্যাক্টিভিস্টদের আটক করা হয়। তাদের ইসরাইলের একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী।

এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে,  ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক অধিকারকর্মীদের ছবি প্রকাশ করেছে।  তাদেরকে ইসরাইলের আসদোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা আরও প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাবে— অর্থাৎ ইসরাইলের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের ইউরোপে পাঠাতে ‘ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া’ শুরু করা হবে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়াতে অনেক সময় লাগবে, সম্ভবত পুরো দিনই লেগে যেতে পারে।

এদিকে, প্রথম দফার কর্মীরা পৌঁছানো শুরু করলেও ইসরাইলি নৌবাহিনী এখনো ফ্লোটিলার বাকি নৌযানগুলো আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে এসব নৌযানের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। কারণ, তারা যতই ইসরাইলি জাহাজের কাছাকাছি যাচ্ছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা ততই বাড়ছে। কখনো কখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়ে যায়, আবার কখনো কর্মীরা নিজেরাই মোবাইল ফোন ফেলে দেন, যাতে আটক বা হয়রানি এড়ানো যায়।

এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের গাজার জলসীমায় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ প্রবেশ করেছে। এছাড়া অন্তত ২৩টি ত্রাণবাহী নৌযান গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ ইতোমধ্যে গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে সেটি ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে কিনা- তা এখনো স্পষ্ট নয়।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।

এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেই গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/6z66
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন