সোমালিয়ার জনসংখ্যার চারজনে একজন তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে বলে জাতিসংঘের এক বার্তায় জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী এক কোটি ৮৫ লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতিসংঘ এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, তহবিলের ঘাটতির কারণে নভেম্বরের মাসের মধ্যে ৩৫ লাখ খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। এর আগের এই সংখ্যা ছিল ১১ লাখ।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস আরও জানিয়েছে, যে উত্তরাঞ্চলে খরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং মধ্য ও দক্ষিণ সোমালিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে নুগাল, মুদুগ, বারি এবং সানাগ অঞ্চলে পরিস্থিতি বিশেষভাবে গুরুতর। যেখানে টানা চার বছর কম বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০০ লিটার ব্যারেলের পানির দাম ১২ ডলার থেকে বেড়ে ১৫ ডলারে পৌঁছেছে। ভবিষ্যতে এই দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা পান্টল্যান্ড রাজ্যের কিছু অংশে শহরের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য করছে।
সোমালিয়া ২০২০ সালের শেষের দিকে এবং ২০২২ সালের শেষের দিকে টানা পাঁচ বছরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় হয়েছে। ফলে ২০২৩ সালে তীব্র খরা দেখা দেয় যা ৫০ লাখ মানুষকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলে দেয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি ২০১১ সালে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সাক্ষী ছিল, যেখানে ২৬ হাজার এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
