অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর একটি চীনা সামরিক বিমান তাদের একটি নজরদারি বিমানের খুব কাছাকাছি জ্বলন্ত ফ্লেয়ার ছুড়েছে। এটিকে ‘অসুরক্ষিত ও অপেশাদার আচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
রোববারের (১৯ অক্টোবর) এই ঘটনার পর সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, তারা বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার পি-৮এ নজরদারি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং বিমানে থাকা কোনো সদস্য আহত হননি।
চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার বিমানটি চীনের আকাশসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল, ফলে সেটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
চীনের সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল লি জিয়ানজিয়ান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিমান চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। আমরা ক্যানবেরাকে আহ্বান জানাই তারা যেন অবিলম্বে এই ধরনের উস্কানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ করে।
অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তারা আশা করে চীনসহ সব দেশ আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় তাদের সামরিক কার্যক্রম নিরাপদ ও পেশাদারভাবে পরিচালনা করবে।
এটি সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের মতো ঘটনার আরও একটি সংযোজন।
রোববারের এই ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। তার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এইউকেইউএস সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে — যা অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বহু-বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেও একই এলাকায় একটি চীনা যুদ্ধবিমান অস্ট্রেলিয়ার বিমানের কাছাকাছি ফ্লেয়ার ছুড়ে। তখনও চীন দাবি করে, অস্ট্রেলিয়ার বিমান ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ চীনের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল।
২০২৩ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ করে, চীনা যুদ্ধবিমান তাদের নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারের কাছে ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করেছিল। হেলিকপ্টারটি তখন জাতিসংঘের একটি মিশনে অংশ নিচ্ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার নিজস্বভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের কোনো মালিকানার দাবি না থাকলেও, দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সঙ্গে একমত যে, চীনের ওই অঞ্চল দাবির কোনো বৈধতা নেই।