ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আক্রমণ চালানো হলে জাতীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সংগঠিত সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার ভেতরে সক্রিয় মাদক পাচারকারী চক্রের ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিকল্পগুলো বিবেচনা করছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে। এর অংশ হিসেবে তিনি পুয়ের্তো রিকোয় অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য মাদুরোর ক্ষমতা দুর্বল করা।
মাদুরো বলেন, ‘যদি ভেনেজুয়েলাকে আক্রমণ করা হয়, তবে শান্তি, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও আমাদের জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে যে কোনো স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এটি একটি পরিকল্পিত ও সংগঠিত সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেবে।’
তিনি আরও জানান, দেশের প্রতিরক্ষা জোরদারে একটি বিশেষ মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যেখানে সাধারণ নাগরিকরাও জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হবেন। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রস্তুতি-পর্যায়ের একটি কাঠামো তুলে ধরে বলেন, ভেনেজুয়েলা বর্তমানে সমন্বিত প্রতিরক্ষার ‘হলুদ পর্যায়ে’ রয়েছে। মাদুরোর ভাষ্য অনুযায়ী, দেশটি এখন অহিংস সংগ্রামের ধাপ পার করছে, যেখানে রাজনৈতিক, তথ্যগত ও কূটনৈতিক কৌশলকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী ক্যারিবিয়ানের দক্ষিণে একটি মাদকবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যা নাকি ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিগগিরই ‘মাদক-সন্ত্রাসী’ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।