অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে দখলদার ইহুদিদের নিয়ে একটি উস্কানিমূলক মিছিল এবং ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।
রোববার (৩ আগস্ট) অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের একটি বিশাল দলের নেতৃত্ব দেন তিন। এক ‘স্মরণসভায়’ মিলিত হয়ে তারা গান এবং নৃত্য পরিবেশন করে মসজিদ প্রাঙ্গণে হানা দেয়।
জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফের মতে, কমপক্ষে ১ হাজার ২৫১ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী সকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে তালমুদিক আচার-অনুষ্ঠান চালায়।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন লিকুদ আইনপ্রণেতা অমিত হালেভি – তিন বেন-গভিরের সঙ্গে যোগ দেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা কট্টর ইহুদিদের এই কর্মকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উস্কানির নজিরবিহীন বৃদ্ধি’ বলে অভিহিত করেছেন।
জেরুজালেম গভর্নরেট এই বৃহৎ পরিসরে সংগঠিত অনুপ্রবেশের ‘স্পর্শকাতরতা’ সম্পর্কে সতর্ক করে এটিকে আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের ‘পরিকল্পিত লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
এই অনুপ্রবেশের সময় মুসল্লিসহ স্থানীয় সাংবাদিক এবং আল-আকসা রক্ষীদের ওপর আক্রমণও চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যগুলো জানিয়েছে।
প্রাঙ্গণের ভেতর থেকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি মন্ত্রী বেন-গভির বলেন, ‘টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের জন্য এবং আমরা এখানে চিরকাল থাকব।’
মধ্যরাতের পর জেরুজালেমের পুরাতন শহরজুড়ে বেন-গভিরের নেতৃত্বে আরেকটি অবৈধ বসতি স্থাপনকারী পদযাত্রার কয়েক ঘণ্টা পরেই আল-আকসায় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে।
জেরুজালেম গভর্নরেট এই বছরের ইহুদি ‘আচার-অনুষ্ঠানকে’ আল-আকসার জন্য ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক দিনগুলপর মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি সরকারের পূর্ণাঙ্গ সংযোগ মসজিদের ধর্মীয় ও আইনি মর্যাদা পরিবর্তনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এই এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এখানে প্রাচীনকালে দুটি ‘ইহুদি টেম্পল’ ছিল।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, যেখানে আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি।