English

33.1 C
Dhaka
রবিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
- Advertisement -

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ট্রাম্প হেরে গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন না!

- Advertisements -

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এখন নির্বাচনের দিকে সবার নজর। কে হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট- সে প্রশ্নে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি বিশ্বে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ মানুষ আশঙ্কা করছেন যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বেশ কয়েকবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বলেছেন, তিনি নির্বাচনে হেরে গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন না।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন মার্কিন নাগরিক মনে করছেন, নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে। আর প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বেশ আস্থার সঙ্গেই বলেছেন, নির্বাচনের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। কেউ কেউ মনে করছেন, ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, চরম উত্তেজনার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। ফলে বাইডেন টেক্সাসে তার নির্ধারিত সমাবেশ করতে পারেন নি। জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণায় টেক্সাসের অস্টিন যাওয়ার পথে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে বহনকারী বাস ঘিরে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে ট্রাম্প সমর্থকরা। এ সময় বাইডেনের সহযোগীরা জরুরি নাম্বার ৯১১-তে ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান। ঘটনার পরে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
স্থানীয় সময় রবিবার মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া এবং ফ্লোরিডায় প্রচার চালাবেন ট্রাম্প। এদিকে, ভোটের আগের দিন সোমবার সমাবেশ করবেন নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়া, উইসকন্সিন ও মিশিগানে। আর রবিবার পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশ করার কথা রয়েছে আরেক প্রার্থী জো বাইডেনের।
উল্লেখ্য, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ট্রাম্প-বাইডেন। মূলত এই রাজ্যগুলোর ভোটারটাই নির্ধারণ করেন কে হবেন আগামী চার বছরের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, নানা কারণে বিতর্কিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চান না ব্রিটিশ, ফরাসি, জার্মানরা। যদিও উল্টো প্রতিক্রিয়া রাশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় যুক্তরাজ্য-জার্মানি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারের পর থেকে ফ্রান্সের সাথে উষ্ণ সম্পর্ক নেই ট্রাম্প প্রশাসনের। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক স্বার্থে বাইডেনের জয়ের জন্য উন্মুখ ইউরোপের অনেকেই।
লন্ডনের শিক্ষক এ্যামিলি বেকন বলেন, মার্কিন অর্থনীতির জন্য ট্রাম্প ভালো। কিন্তু তার দৃষ্টিভঙ্গি সেকেলে। বিশ্ব রাজনীতির হিসাবে বাইডেনকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইবে সব দেশ। ট্রাম্প নিজেকে নিয়ে ছাড়া কিছু ভাবেন না।
প্যারিসের শিক্ষার্থী ওসামা আল হাসালি বলেন, ট্রাম্পের মতো বাইডেন জটিল নন। আগ্রাসী নন এবং সম্পর্ক রক্ষায় আন্তরিক একজন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানই চাইবে ফ্রান্স।
বার্লিনের বাসিন্দা অ্যাক্সেল ওয়াটার বলেন, বিশ্বে পাগলের অভাব নেই। তাই ট্রাম্পের চেয়ে নিঃসন্দেহে বাইডেন ভালো প্রার্থী। কিন্তু ভয় হচ্ছে যে ট্রাম্পই জিতবেন।
ট্রাম্পের আমলে বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষ বিশ্ব সম্প্রীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; এমনও মনে করেন ইউরোপিয়ানরা। বিভক্তির শেকড় আরও গভীর হওয়ার আগেই ট্রাম্পের পতন চাইছেন কেউ কেউ।
লন্ডনের রেস্তোরাঁ মালিক জো পাওয়েলজিক বলেন, আমেরিকা, ব্রিটেনসহ সারা পৃথিবী, নারী, কৃষ্ণাঙ্গ কারো জন্যই ট্রাম্প সঠিক প্রার্থী নন। প্যারিসের ব্যবসায়ী শার্লট পোইরিয়ার বলেন, কালোদের বিরুদ্ধে সাদাদের, সমকামীদের বিরুদ্ধে ক্যাথলিক ও অন্যান্যদের উস্কে দেয়া ছাড়া কিছু করেনি ট্রাম্প। সে বদ্ধ উন্মাদ। মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় ট্রাম্পকে হারানোর বিকল্প নেই।
২০১৬ সালের নির্বাচনে পুতিন প্রশাসনের সহযোগিতায় জিতেছিলেন ট্রাম্প- এমন বিতর্ক রয়ে গেছে এতদিনেও। একে রাশিয়ার জন্য লাভজনক বলে মনে করে রুশরা।
ট্রাম্পের পক্ষে উন্মাদনা লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলে। ট্রাম্পের হয়ে রীতিমতো প্রচারে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত দেশটির কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারোর সমর্থকরা।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/l5f0
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন