English

25 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৫
- Advertisement -

ইউক্রেনে রুশ পরিচয় জোরদারের নির্দেশ পুতিনের

- Advertisements -

২০২২ সালের অভিযানের পর রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া ইউক্রেনের অংশগুলোতে রুশ ভাষা ও পরিচয়কে সুসংহত করতে হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পুতিন স্বাক্ষরিত এবং প্রকাশিত একটি নথিতে এ কথা বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, নথিতে উল্লেখ করা হয়, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়াসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে রুশ ভাষা ও রুশ পরিচয় সুসংহত করা এখন রাশিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার।

‘২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার জাতীয় নীতির কৌশল’ শিরোনামের নথিটিতে আরও বলা হয়েছে, এসব অঞ্চলে রুশ জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠা ও ভাষাগত উপস্থিতি দৃঢ় করতে সরকারকে অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে বলা হয়েছে, ২০৩৬ সালের মধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণ যেন নিজেদের রুশ বলে শনাক্ত করে— তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোভিয়েত যুগের আগের সময় থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, যার ফলে কিছু ইউক্রেনীয় ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল এবং অধিকাংশই উভয় ভাষায় কথা বলত। কিন্তু রুশ আক্রমণের পর যেকোনও ধরনের সহানুভূতি উধাও হয়ে গেছে এবং জরিপে দেখা গেছে, রুশ ভাষার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেন, কিয়েভ ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও বিধ্বংসী সংঘাতটি শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেন উদ্বিগ্ন যে তাদেরকে হয়ত রাশিয়ার শর্তানুযায়ী, বিশেষ করে আঞ্চলিক ছাড়ের বিনিময়ে, একটি চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য করা হতে পারে।

পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেন। তিনি বলেন, লক্ষ্য হলো দেশটিকে ‘নিরস্ত্রীকরণ ও নাজিমুক্ত’ করা এবং পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী রুশ ভাষাভাষীদের, যাদের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের ভাষ্যমতে প্রকাশ্য বৈষম্য করা হচ্ছিল, তাদের মুক্ত করা।

ছয় মাসের মধ্যে দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও মস্কো এসব অঞ্চলের ওপর পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি।

নথিতে বলা হয়েছে, যা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে, পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা ‘রুশ রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক ভূখণ্ডগুলোর ঐক্য পুনরুদ্ধারের শর্ত তৈরি করেছে’।

নথিটি আরও বলেছে, ‘সামগ্রিক রুশ নাগরিক পরিচয়’ শক্তিশালী করতে, রুশ ভাষার ব্যবহারকে দৃঢ় করতে এবং অমিত্র বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর দ্বারা জাতিগত ও ধর্মীয় সম্পর্ক অস্থিতিশীল করা এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।

১৯৯০-এর দশক থেকে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের বিরোধিতার পাশাপাশি, রুশ ভাষাভাষীদের সুরক্ষা এবং ঐতিহাসিকভাবে রুশ বিবেচিত এলাকাগুলোর পুনঃএকত্রীকরণকে ইউক্রেনে মস্কোর বিশেষ সামরিক অভিযানের মূল ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন পুতিন।

ইউক্রেন ১৯৯১ সালে সোভিয়েত পতন ও স্বাধীনতার পর থেকে ইউক্রেনীয় ভাষাকে একমাত্র রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে চালু করেছে। তবে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ রুশ ভাষাভাষীদের প্রতি যে কোনও বৈষম্যের ধারণা অস্বীকার করে।

রাশিয়া দাবি করে যে, ২০১৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে রাশিয়া-সমর্থিত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের জনজীবনে নব্য-নাৎসি মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়েছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ysrz
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন