English

29 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

ইরাক যুদ্ধের ২০ বছর

- Advertisements -
Advertisements

ঠিকঠাক ২০ বছর আগের ২০ মার্চ। ২০০৩ সালের এই দিনে ইরাকে আগ্রাসন শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তেলসমৃদ্ধ দেশটির জনগণকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের শাসনের অবসান ও একই সঙ্গে গণবিধ্বংসী কথিত অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisements

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে ঘোষণা দেওয়ার আগের রাতেই বিমান অভিযান শুরু হয় ইরাকে। সে সময় তিনি ভাষণে বলেছিলেন, ‘এই মুহুর্তে, আমেরিকান ও জোট বাহিনী ইরাক নিরস্ত্রীকরণ, দেশটির জনগণকে মুক্ত করতে এবং বিশ্বকে রক্ষা করতে সামরিক অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’

যদিও কোনো বিধ্বংসী অস্ত্র খুঁজে পায়নি মার্কিন বাহিনী ও তার মিত্ররা। সে সময় প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে বন্দী করা হয়েছিল। তার বিচার করা হয় এবং ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল। তবুও দেশটি সংঘাতের জেরে গভীরভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, অর্থনীতি ধসে পড়েছে এবং রাজনৈতিক উত্থান-পতন ঘটেছে। শুধু তাই নয় ইরান ও আমেরিকার প্রভাবের অধীনে দিন কাটছে দেশটির নাগরিকদের।

ইরাক যুদ্ধের মাত্র দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জর্জ ওয়াকার বুশ বা জর্জ ডব্লিউ বুশ। এর পরপরই নাইন ইলেভেনের মুখোমুখি হন তিনি। সেই সময় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন বুশ।

এর প্রায় দেড় বছরের মাথায় তিনি ইরাকে অভিযান শুরু করেন। তারও আগে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বুশ প্রশাসন নতুন জাতীয় নিরাপত্তা নীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয় জৈবিক, রাসায়নিক বা পারমাণবিক অস্ত্র, গণ বিধ্বংসী অস্ত্রের অধিকারী কোনো সন্ত্রাসবাদী বা দুর্বৃত্ত দেশ দ্বারা যুক্তরাষ্ট্র যদি হুমকির মুখোমুখি হয়, তাহলে সেটা ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।

ইরাক যুদ্ধে ২ লাখ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে চার হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। শুধু তাই নয় আক্রমণের ফলে পুরো অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা গ্রাস করে ফেলে। যার রেস এখনো কাটেনি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন