ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইসরায়েলে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।ইসরায়েলকে বাঁচাতে নিজেদের চার ভাগের এক ভাগ অস্ত্র ব্যবহার করতে হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই সামরিক দেশটির। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ঘটনা বিষয়ে অবগত দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানায়, তেহরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে অন্তত ১০০ থাড ব্যবহার করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। সেই সংখ্যা দেড়শও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট সাতটি থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। তার মধ্যে দুইটি ইসরায়েলে ব্যবহার করতে হয়েছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ১১টি নতুন থাড ইন্টারসেপ্টর তৈরি করেছে, আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আরও মাত্র ১২টি পাওয়ার কথা রয়েছে। অর্থাৎ এই প্রযুক্তি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
তাই ১২ দিনের এই যুদ্ধে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রশ্ন উঠেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ থাড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থিতিশীল সময়ে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযুক্তির মজুদ কমে যাওয়ায় শঙ্কিত মার্কিনিরা। বিশেষ করে যখন মার্কিন জনমত ইসরায়েলের সামরিক সহায়তার প্রতি অতীতের তুলনায় অনেক কম সহানুভূতিশীল।
সাবেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এবং ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্লেষকরা সিএনএনকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত ক্ষয়িষ্ণুতা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি ও দ্রুত মজুদ পুনর্গঠনের সক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধাক্কা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রস্তুতিতে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতে এমন আরেকটি সংঘাত ঘটলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় চরম চাপ তৈরি হবে।