রাশিয়া ও ইউক্রেন শুক্রবার তুরস্কে এক যৌথ আলোচনায় এক হাজার যুদ্ধবন্দি একে অপরের সঙ্গে বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ও দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে উভয় পক্ষের আলোচকরা পৃথক টেলিভিশন বিবৃতিতে জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রধান আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এক হাজার রুশ যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে এক হাজার ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় পক্ষ সরাসরি রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ে বৈঠকের অনুরোধ করেছে। আমরা সেটি বিবেচনায় নিয়েছি এবং উভয় পক্ষ একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির রূপরেখা পেশ করবে বলে সম্মত হয়েছি।
ইউক্রেনের প্রধান আলোচক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভও পৃথক এক বিবৃতিতে বন্দি বিনিময় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আলোচনায় যুদ্ধবিরতি এবং জেলেনস্কি-পুতিন বৈঠকের সম্ভাবনাও আলোচিত হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশে তুরস্কে দেশ দুটির বৈঠকের বিষয়টি কয়েকদিন ধরেই আলোচনায়। তবে এতে ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিন অংশ নেননি। বুধবার ট্রাম্পও এ বৈঠকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরোক্ষভাবে তিনি পুতিনকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুতিন সেখানে যেতে রাজি হননি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবারও জানিয়েছেন, তার সঙ্গে পুতিনের দেখা হওয়ার আগে যুদ্ধবিরতি সফল হবে না।
২০২২ এ যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। পুতিনের বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেলেনস্কি শুক্রবার আরও জানান, এবারও যুদ্ধ থামানোর কোনো সুরাহা না হলে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের উচিত হবে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।