বাসটি পরিচালনা করছিল এসএটিএস এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, যা এয়ার ইন্ডিয়াসহ একাধিক এয়ারলাইনের গ্রাউন্ড সার্ভিস সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (ডায়াল) জানিয়েছে, এটি একটি ‘অকস্মাৎ ঘটনা’ ছিল। তারা জানায়, একটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানির পরিচালিত বাসে দুপুরের দিকে আগুন লাগে। বিমানবন্দরের অগ্নি নির্বাপণ দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসটি তখন সম্পূর্ণ খালি ছিল এবং কেউ আহত হয়নি। বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।”
সম্প্রতি একের পর এক প্লেন দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে ভারতের পতাকাবাহী আকাশ পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। গত জুনে গুজরাটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ দুর্ঘটনায় অন্তত ২৬০ জন নিহত হন।
এর মাসখানেক পরেই হংকং থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ‘অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট’(এপিইউ)-এ আগুন লাগে। তবে সে সময় সব যাত্রী ও কর্মীরা নিরাপদে প্লেন থেকে নেমে আসেন বলে জানায় এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুরু হয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত।
জুলাইয়ে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (ডিজিসিএ) জানায়, আগের এক বছরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ৫১টি নিরাপত্তাজনিত লঙ্ঘন ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সাতটি ছিল ‘লেভেল ১’ লঙ্ঘন, যা সবচেয়ে গুরুতর ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি চিহ্নিত হয়।