ভারতে সম্প্রতি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্রিটিশ নাগরিকের পরিবারের কাছে অন্য ব্যক্তিদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্রিটিশ নাগরিকের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনটা অভিযোগ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ পরিবার দুটির আইনজীবী জেমস হিলি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষায় দুই কফিনে থাকা মরদেহ তাদের স্বজনদের সঙ্গে মেলেনি।
অভিযোগ সামনে আসার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ সরকারের সাথে বিষয়টি নিয়ে ‘যোগাযোগ রাখা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট প্রোটোকল এবং টেকনিক্যাল দিকগুলো মাথায় রেখেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেহ চিহ্নিতকরণের কাজ করেছে।
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি।
এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষতিপূরণের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল একাধিক নিহত ব্রিটিশ নাগরিকদের পরিবার। তাদের দাবি ছিল, ফর্মে একাধিক জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অসত্য।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছু সময় পরই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের এই বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে মাত্র একজন প্রাণে বাঁচেন।