English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

করোনা বিধিনিষেধ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ

- Advertisements -

শুক্রবার অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাস সম্পর্কিত যাবতীয় বিধিনিষেধ উঠে গেল পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যটিতে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার কারণেই বৃহস্পতিবার সরকারের সচিবালয় নবান্ন’এর তরফে জারি করা নতুন নির্দেশিকায় এই সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরফলে অফিস, আদালত, শপিং মল, সুইমিং পুল, জিম, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, মেট্রো রেল, ইন্ডোল গেম, বিয়ে বাড়ি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ যে যে বিশেষ ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল তা আর কোনটাই থাকছে না। রাত ১২টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত যে নাইট কার্ফু জারি ছিল তাও তুলে নেওয়া হয়েছে।

তবে করোনা বিধিনিষেধ উঠে গেলেও স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ফেস মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। গোটা ভারতে করোনা অতিমারির প্রকোপ দেখা দেওয়ায় গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে গোটা দেশে চালু হয়ে যায় করোনা বিধিনিষেধ। সেক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর পর ফের স্বাভাবিক ছন্দেই ফিরে গেল এই রাজ্য।

তবে শুধু পশ্চমবঙ্গই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধে দেশটির বেশ কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে করোনা বিধিনিষেধ উঠে গেল। এমনকি করোনায় সবথেকে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রেও মাস্ক পরার নিয়ম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লিতেও সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও খোলা জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা অনুরোধ করেন যে, সম্ভব হলে ৩১ মার্চ মধ্যরাত থেকেই যেন করোনা সম্পর্কিত সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। তবে বিধিনিষেধ উঠে গেলেও করোনা যে সম্পূর্ণ ভাবে বিদায় নেয়নি, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কারণ সংক্রমণের প্রকৃতি দেখে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। হঠাৎ করে কোন এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে দ্রুততার সাথে যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

যদিও এই দুই বছরে অতিমারী নিয়ন্ত্রণ করার মতো বিভিন্ন রকম বন্দোবস্ত সরকার করে ফেলেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলি তাদের নিজেদের মতো করে এই অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুত। সাধারণ মানুষও এখন আগের থেকে বেশি সচেতন।

উল্লেখ্য গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ জন। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০,১৭,৩১৫ জন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন