ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৪ বছর বয়সী জাস্টিন ডে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর একটি ‘হট রোলিং চ্যানেল’-এ লোহার বিশাল একটি বিমের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
সোয়ানসির ল্যানসামলেট এলাকায় থাকা জাস্টিন ডের পরিবার জানিয়েছে—তাদের জীবন একেবারে ‘ভেঙে পড়েছে’ এবং কোম্পানির কাছ থেকে কোনো সহানুভূতি বা সহায়তা না পেয়ে তারা ক্ষুব্ধ।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংস্থা দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলাটি আদালতে আনে এবং একে ‘সঠিক রায়’ বলে উল্লেখ করে।
তিনি মেশিনের একটি অংশের নিচে নামলে সেন্সর সক্রিয় হয়ে যায় এবং একটি বড় লোহার বিম তাকে পিষে ফেলে।
সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টের বিচারক গেরেইন্ট ওয়াল্টারস বলেন, ‘জাস্টিন ডে এই ধরনের কাজে অভ্যস্ত ছিলেন। প্রাথমিক কাজের জন্য যথাযথ ঝুঁকি নিরূপণ ব্যবস্থা ছিল। তবে তাকে অন্তত এটা জানানো উচিত ছিল যে এলাকাটি আংশিকভাবে সচল করা হয়েছে।
বিচারক আরও বলেন, ‘সে মেশিনের নিচে নেমেছিল কারণ অন্যরা সেখানে ছিলেন। এটি বেপরোয়া কাজ ছিল না, সে বিশ্বাস করেছিল এটি নিরাপদ।’
তিনি বলেন, ‘যেসব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল, তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। কোম্পানিটি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’
রায়ে তাদের ১৫ লাখ পাউন্ড জরিমানা এবং ২৬,৩১৮.৬৭ পাউন্ড মামলার খরচ পরিশোধের আদেশ দেওয়া হয়।
২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টাটা স্টিলের বিরুদ্ধে ২১টি অপরাধের রেকর্ড তুলে ধরে বিচারক বলেন, ‘আমি যত বড় জরিমানাই করি না কেন, তা একজনের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে না।’
মৃত জাস্টিন ডের স্ত্রী জোয়ি ডে অভিযোগ করেন, ‘টাটা স্টিল থেকে আমাদের কাছে একটি ফোন, একটি চিঠি, এমনকি কোনো কাউন্সেলিং পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তারা কোনো সহানুভূতি দেখায়নি।’
দোষ স্বীকার করে এক বিবৃতিতে টাটা স্টিল ইউকে জানিয়েছে, ‘আমরা জাস্টিন ডের পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের প্রতি আবারও গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’