English

22 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
- Advertisement -

কয়লা রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ার রেকর্ড আয়

- Advertisements -

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় জ্বালানির বিকল্প বাজার খুঁজছে অনেক দেশ। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বৈশ্বিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে কয়লা উৎপাদন কয়েকগুন বাড়িয়েছে দেশটি।

ইউরোপে কয়লা রপ্তানি বাড়িয়েছে জাকার্তা। সেই সাথে চীন, ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তা সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন বাড়িয়েছে তারা।

এক সাক্ষাৎকারে ইন্দোনেশিয়ার কয়লা খনি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পান্দু জাহরির বলেন, ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী ইন্দোনেশিয়ার কয়লার চাহিদা বেড়েছে। এদেশ থেকে তা ব্যাপক আমদানি বাড়িয়েছে জার্মানি।

Advertisements

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির ব্যবসায়িক উন্নয়ন পরিচালক রাফলি জান্দা জানিয়েছেন, গত মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ইতালিতে ১ লাখ ৪৭ হাজার টন কয়লা রপ্তানি করেছে তারা।

তিনি বলেন, জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো ইউরোপের অন্যান্য দেশে ভালো দামে কয়লা বিক্রি করতে বাজার প্রক্রিয়াধীন করার মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটিবিএ।

জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ১৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করেছে বুকিত আসাম। ২০২১ সালের একই সময়ের যা ২০ শতাংশ বেশি।

ইন্দোনেশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লা উৎপাদক কোম্পানি বুমি রিসোর্সও উৎপাদনও বাড়িয়েছে। এ বছর ৮৩ মিলিয়ন টন জ্বালানি পণ্যটি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। গত বছরের চেয়ে যা ৬ শতাংশ বেশি।

Advertisements

আদারো এনার্জিতে বিনিয়োগকারী সম্পর্কের প্রধান মহার্দিকা পুত্রান্তো জানিয়েছেন, ২০২২ সালে ৬০ মিলিয়ন টন কয়লার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। গত বছরের চেয়ে যা প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।

চাহিদা বাড়ায় কয়লার দামও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বেঞ্চমার্ক নিউক্যাসলে জ্বালানি পণ্যটির ভবিষ্যত সরবরাহ মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে সেখানে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৪৬০ ডলারে। চলতি বছরের প্রথমদিকের চেয়ে যা প্রায় তিন গুন বেশি।

কয়লার আরেক বৃহৎ উৎপাদক দেশ অস্ট্রেলিয়া। সেখানে আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কমেছে। ফলে ইন্দোনেশিয়ার পণ্যটির চাহিদা আকাশচুম্বী হয়েছে।

দাম বাড়ায় সর্বকালের সর্বোচ্চ আয় করেছে ইন্দোনেশিয়া কয়লা খনি কোম্পানিগুলো। এ বছরের প্রথমার্ধে ৪১৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে পিটিবিএ। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ২৪৬ শতাংশ বেশি। আদারোর আয় ৮ গুন বেড়ে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। আর বায়ান রিসোর্সের ৩ গুণ বেড়ে ৯৭০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আগামী বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন