যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে মিসরের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ বাহিনীতে মিসরের পাশাপাশি তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং আজারবাইজানকে মূল সৈন্যদাতা দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে গাজায় কোনও তুর্কি সেনা মোতায়েনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
দ্য জেরুজালেম পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হাসান মাহমুদ রাশাদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করেছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, আমরা তুর্কি সেনাদের গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেব না।
তিনি আরও যোগ করেন, মৌলিক পরিবর্তন না আনলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) গাজা শাসনে অংশ নিতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন, হামাস কোনওভাবেই গাজার নতুন প্রশাসনের অংশ হতে পারবে না।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন যুদ্ধবিরতির পর গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন নিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা আলোচনা চলছে।
গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেসরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এ অর্থের যোগান দেবে।