English

25.9 C
Dhaka
সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
- Advertisement -

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি

- Advertisements -

গাজায় গত কয়েক সপ্তাহে ত্রাণ নিতে গিয়ে ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত বিতর্কিত সহায়তা প্রকল্প গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর সহায়তা কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে অন্তত ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৪ হাজার ৮৯১ জন আহত হয়েছেন।

আল-জাজিরার গাজা সিটি প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, “এটা একেবারে সংক্ষিপ্ত একটি হিসাব। বাস্তবে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ক্ষুধার্ত পরিবারগুলো যখন বেঁচে থাকার শেষ আশায় খাদ্য নিতে আসছে, তখনই হামলা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ ক্ষুধায় কাতর। অনেক মা নিজে না খেয়ে সন্তানদের জন্য খাবার তুলে রাখছেন। পরিবারগুলো খাবার বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে খাচ্ছে। কেউ কেউ পুরো দিন না খেয়ে কাটাচ্ছেন।”

গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) প্রকল্প চালু হয়েছে গত মে মাসের শেষ দিকে। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে দাবি উঠেছে, এই প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মীরা ও ইসরায়েলি সেনারা খাদ্য নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি ছুঁড়ছে।

বার্তাসংস্থা এপি বলছে, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনে (জিএইচএফ) নিয়োজিত কয়েকজন মার্কিন ঠিকাদার বলেন, তারা নিজেরাই দেখেছেন যে “নিরাপত্তাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে যেমন খুশি তেমন আচরণ করছে।”

জিএইচএফ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে বলেছে, “এই তথ্য ভিত্তিহীন। আমরা আমাদের সাইটগুলোর নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি।”

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জিএইচএফ-এর প্রতি সমর্থন বজায় রেখেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “জিএইচএফ-ই একমাত্র সংস্থা যা গাজায় খাদ্য পৌঁছে দিতে পেরেছে।”

জুন মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রকল্পে সরাসরি ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়। তবে জিএইচএফ-এর মাধ্যমে পরিচালিত সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়ে যখন শনিবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে জিএইচএফ-এর একটি সাইটে গ্রেনেড হামলায় দুই মার্কিন কর্মী আহত হন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। 

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/sqel
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন