হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রবিবার ভোরে ইসরায়েল গাজায় প্রথমবারের মতো বিমান থেকে মানবিক ত্রাণ পাঠিয়েছে। এছাড়া উপত্যকার কিছু অংশে যুদ্ধ বন্ধ করার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে পণ্য বিতরণের জন্য জাতিসংঘের নিরাপদ পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল সূত্রে জানা গেছে, জেরুজালেমের উপর তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এই পরিবর্তন এসেছে।
গত মার্চ থেকে মে, এ সময়ে গাজায় সমস্ত সাহায্য নিষিদ্ধ করেছিল ইসরায়েল। পরে নির্ধারিত এলাকায় বেসরকারী আমেরিকান ঠিকাদারদের মাধ্যমে বেশিরভাগ সহায়তা বিতরণকে সমর্থন করেছিল দেশটি। তবে প্রায় প্রতিদিনই শত শত সাহায্যপ্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই ক্রমবর্ধমান প্রতিক্রিয়া ও চাপ আসতে থাকে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মানবিক গোষ্ঠীগুলি দাবি করেছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে পণ্য বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলে ক্রমবর্ধমান ক্ষুধা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশ, গোষ্ঠী এবং কর্মকর্তারা ইহুদি রাষ্ট্রের উপর আরও সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কারণ অপুষ্টিজনিত মৃত্যু ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলে ক্ষুধা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদিও ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে যুক্তি দিয়ে আসছে যে তারা জাতিসংঘের সাহায্য বিতরণে কোনো বাধা দিচ্ছে না।
এদিকে ইসরায়েল মানবিক বিরতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর, মিশর থেকে গাজায় ত্রাণের ট্রাক চলাচল করছে বলে জানা গেছে।