যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা নিয়ে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান। ওই চিঠিতে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন ফার্স্ট লেডি যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তেমনি গাজাতেও মানবিক সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান এমিনি।
চিঠিতে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ট্রাম্পের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ছয় বছর আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও মেলানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লেখা মেলানিয়ার চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে এমিনি এরদোয়ান বলেন, ‘চিঠিতে যে আবেগ প্রতিফলিত হয়েছে তা বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছে।’
ওই চিঠিতে মেলানিয়া ইউক্রেনের অনাথ শিশুদের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
মেলানিয়ার সেই চিঠির প্রশংসা করে এমিনি এরদোয়ান লিখেছেন, ‘আপনি আপনার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন- প্রতিটি শিশুরই ভালোবাসাপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে বড় হওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকার কোনো অঞ্চল, জাতি, ধর্ম বা মতাদর্শের একচেটিয়া নয়। যারা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাদের প্রতি সহায়তা করা মানব পরিবারের প্রতি একটি মৌলিক দায়িত্ব।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে একজন নেতার স্ত্রী হিসেবে, ইউক্রেনের যুদ্ধে নিহত, বাস্তুহারা পরিবার এবং অনাথ হয়ে পড়া শিশুদের প্রতি আপনার সহানুভূতি হৃদয়ে আশা জাগিয়ে তোলে।’
এমিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনীয় শিশুদের মুখে আবারও আনন্দের হাসি ফিরিয়ে আনার জন্য মেলানিয়া ট্রাম্পের প্রচেষ্টা অত্যন্ত অর্থবহ।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধে প্রাণ হারানো ৬৪৮ জন ইউক্রেনীয় শিশুর প্রতি যে গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীলতা আপনি দেখিয়েছেন- গাজাতেও তা আরও দৃঢ়ভাবে দেখাবেন। যেখানে মাত্র দুই বছরে ১৮ হাজার শিশুসহ ৬২ হাজার নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেছেন, ‘একজন মা, একজন নারী এবং একজন মানুষ হিসেবে আমি আপনার চিঠিতে প্রকাশিত আবেগ গভীরভাবে অনুভব করি। আমি আশা করি, আপনি গাজার শিশুদের জন্যও একইভাবে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবেন, যারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করছে।’