পবিত্র শহর জেরুজালেমে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। ইতিমধ্যে তা জেরুজালেমের আকাশে পৌঁছেছে। সেখানে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অল্প সময় আগে ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র জেরুজালেমের আকাশে পৌঁছেছে, আর এ কারণে শহর জুড়ে সাইরেন বাজতে শুরু করেছে।
প্রথম কয়েক দিনের তুলনায় ইরান এখন যে হারে ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুড়ছে, তার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েল বলেছে, তারা যতদিন প্রয়োজন, ততদিন তাদের অভিযান চালাতে থাকবে এবং লক্ষ্য পূরণ করবে। তাদের দাবি, কারণ হলো তাদের সেনা ও বিমানবাহিনী ইরানের পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের (ইলামের প্রদেশ, কুর্দিস্তান, পূর্ব আজারবাইজান, পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহ) সব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পেরেছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছানোর দূরত্ব ইরানের কেন্দ্র থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক কম। ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ক্ষমতা ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
তবে ইরান বলছে, তাদের কাছে এমন অস্ত্র আছে, যা এখনও ব্যবহার করা হয়নি, এবং সেগুলো দিয়ে ইসরায়েলের ওপর বড় ধরণের হামলা চালানো হতে পারে।
ইরান বুধবার জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের দিকে নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যা আগের চেয়ে দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছায়। ইরান আরো বলেছে, বিশ্বের গুটি কয়েক উন্নত রাষ্ট্রের কাছেই এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে।
বুধবারও তেল আবিবে সাইরেন বেজেছিল, কিন্তু ইসরায়েল বলছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পেরেছে।