যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মধ্যাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে। তাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্যোগের পর থেকে অন্তত ১৬১ জনের কোনো খোঁজ মেলেনি।
পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনো উদ্ধারকারী দলগুলো কাদামাটিতে ঢেকে যাওয়া নদীর তীরে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও নতুন করে কারো জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। এর মধ্যে আরও বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
টেক্সাসের কার কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানেই গুয়াদালুপে নদীর পানি শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ বেড়ে যায়। ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটির দিনেই ঘটে এই বিপর্যয়।
এ কাউন্টিতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৭ জন-যাদের মধ্যে ৫৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৩১ জন শিশু। এখনও পর্যন্ত ১৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৭ শিশুর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় শেরিফ অফিস।
এদিকে, ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ নামে একটি খ্রিস্টান গার্লস সামার ক্যাম্প নিশ্চিত করেছে, নিহতদের মধ্যে তাদের ২৭ জন শিক্ষার্থী ও কর্মী রয়েছেন।
জানা গেছে, ক্যাম্প মিস্টিকের সহ-স্বত্বাধিকারী ও পরিচালক ৭০ বছর বয়সী রিচার্ড ইস্টল্যান্ড শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারান।
এদিকে, এই বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় কেউ কেউ জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা (এনডব্লিউএস) এক এর মূল সংস্থা এনওএএর কর্মী ছাঁটাইকে দায়ী করছেন তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজেট কমানোয় সতর্কতা ব্যবস্থায় ঘাটতি থেকে থাকতে পারে।
তবে হোয়াইট হাউজ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এটা ছিল ঈশ্বরের কর্ম। প্রশাসনের কোনো দায় নেই। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা যথাসময়ে বারবার সতর্কতা জারি করেছে।
এই বন্যাকে স্থানীয় কর্মকর্তারা বর্ণনা করেছেন, ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্যোগ হিসেবে।